ঢাকা | রবিবার
২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাল্টা-আপেলের উচ্চলম্ফ

মাল্টা-আপেলের উচ্চলম্ফ
  • মৌলভীবাজারে বেড়েছে ফলের দাম

পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরেও মৌলভীবাজারে বেড়েছে সকল প্রকার ফলের দাম। খুচরা বাজারেও বিভিন্ন ফল বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। মৌলভীবাজারের বাজারে মাল্টা ও আপেল এক লাফে দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে বেড়েছে। তাই ফলের ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। ক্রেতারা জানান, সাধারণত রোজার মাসের ইফতারি ও সেহরীতে অনেকেই ফল খেয়ে থাকেন। তাই বাধ্য হয়েই সেটা পরিবারের লোকজনের জন্য ক্রয় করতে হয়। বিশেষ করে রোজার সময় বাজারে মাল্টা ও আপেলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মৌলভীবাজারে একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ফলের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।

শহরের প্রাইকারি ও খুচরা ফল বিক্রয় করা হয় চৌমুহরা পয়েন্টে। গতকাল সরেজমিনে এ প্রতিবেদকের কথা হয় ফলবিক্রেতা আহাদ মিয়ার সঙ্গে কথা হলে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগেও তিনি কেজি প্রতি ১৩০ টাকা দরে আপেল বিক্রি করেছেন। তবে রমজানের আগের দিন থেকেই সেই মাল্টা তাকে বিক্রি করতে হচ্ছে কেজি প্রতি ১৯০ থেকে ২২০ টাকায়। সপ্তাহ আগে যেখানে আপেলের দাম ছিল কেজি প্রতি ১২০ টাকা, সেই আপেল এখন তাকে বিক্রি করতে হচ্ছে ১৯০-২৪০ টাকা দরে। গড়ে প্রতি কেজি মাল্টা ও আপেলের দাম কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ প্রতিবেদককের কথা হয় ফল ক্রয় করতে আসা ফারাহ্ তাবাস্সুমের সঙ্গে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আসলে রোজার মাসে ফল একটু বেশী লাগে। কেননা ইফতারে আমরা বিভিন্ন ফলের জুস খাই। আজকে এখানে এসে দেখতে পাচ্ছি ফলের দাম অর্ধেকের উপর বেড়েছে। যেহেতেু রোজার মাস আর দামের যে অবস্থা তাতে এক কেজির জায়গায় আধাকেজি করে ক্রয় করতে হবে।

তাহমিনা হোসাইন নাবিলা নামে আরেক ক্রেতা একইভাবে তার ক্ষোভের কথা জানানা। তিনি বলেন, কেবল রোজার মাসে পৃথিবীর সব দেশে খাবারের জিনিসপত্রের দাম কমে। ব্যতিক্রম কেবল এ বাংলাদেশ। যেহেতু রমজান মাস আর আমার বাসায় বয়স্করা ফল খান তাই উনাদের জন্য অর্ধেক হলেও ক্রয় করতে হবে।

মৌলভীবাজারের ফল মার্কেট ঘুরে জানা যায়, বাজারে ফলের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে। মার্কেটের একটি সূত্র জানায়, আপেল প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা, ডালিম ২৫০ থেকে ২৭৫ টাকা, আনারস প্রতি পিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মাল্টা ১০০ থেকে ১২০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। এসব ফলের কোনো সংকট নেই বলেও সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যারা ভাসমান অবস্থায় ফল বিক্রি করেন সেগুলো পরিস্থিতিও একই।

সংবাদটি শেয়ার করুন