ঢাকা | সোমবার
১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিএসইতে বাড়লো মূলধন

ডিএসইতে বাড়লো মূলধন

পুঁজিবাজারে মূলধন-

  • লেনদেন ডিএসইতে ৪৬৮৩ কোটি
  • সিএসইতে ২২১ কোটি

বিদায়ী সপ্তাহে ( রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) পুঁজিবাজারের লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। সপ্তাহটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন বাড়লেও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কমেছে। সপ্তাহটিতে ডিএসই সব ধরনের সূচক উত্থান হয়। ছয়টির মধ্যে সিএসইর প্রধানসহ চার ধরনের সূচক পতন হয়। এসময় ডিএসইর বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বাড়লেও সিএসইর কমেছে।

ডিএসই ও সিএসইর সূত্র মতে, গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ডিএসইর পুঁজিবাজারের মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে আগে বা ২৪ মার্চ মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৬৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সিএসইর পুঁজিবাজারের মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। গত ২৪ মার্চ মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ১৫২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সিএসইতে মূলধন কমেছে ১ হাজার ৫৪২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম তিন সপ্তাহ (১৫ কার্যদিবস) কারণ বিহীন বেড়ে উঠেছিল পুঁজিবাজার মূলধন। হঠাৎ করেই এরপরের দুই সপ্তাহ (১০ কার্যদিবস) মূলধন কমতে দেখা গেছে। তাল মিলিয়ে বছর শুরুর তিন সপ্তাহে লেনদেন উত্থানে চমক থাকলেও এরপর দুই সপ্তাহে লেনদেন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। পরের সপ্তাহে মূলধন বৃত্ত বেড়েছিল। সেখান থেকে পরের সপ্তাহগুলোতে মূলধন বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে বলে জানান পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, পুঁজিবাজারে মূলধন বাড়া-কমা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে অতিরিক্ত বৃদ্ধি যেমন ভালো লক্ষ্মণ না, তেমনি কমাও নয়। সব ক্ষেত্রেই বাড়া-কমার একটা সীমা থাকে। যখন সেই সীমা অতিক্রম করে, সেই ক্ষেত্রে সবার মনে অনেকগুলোর প্রশ্ন তৈরি হয়। এসব প্রশ্নের পরিষ্কার ও যৌক্তিক জবাব জানা থাকলে, সেটা অন্য কথা। না জানা থাকলে সেই ক্ষেত্রে বিজ্ঞরা বিযয়টি ভালো চোখে দেখে না।

এদিকে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর পুঁজিবাজারের সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৫৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১ দশমিক ২৬ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৪ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৪৬৮ দশমিক ১১ পয়েন্টে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৭৫ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৮২৪ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে। সিএসই ৫০ সূচক ১১ পয়েন্ট, সিএসই৩০ সূচক ১০৭ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স সূচক ৪৬ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৪৫৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ১০৩ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে এবং ১১ হাজার ৮৪৭ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ৭ দশামক ৮০ পয়েন্ট এবং সিএসইএসএমইএক্স  সূচক ৩২৪ দশামক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৪৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬৬ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৯০১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অপরদিক গেল সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ১৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭৩টির বা ৪৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, দর কমেছে ১৭০টির বা ৪৩ দশমিক ২৬ শতাংশ ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির কোম্পানির। লেদনের হয়নি নয় কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৫৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৩৭টির বা ৪২ দশমিক ১৭ শতাংশ, দর কমেছে ১৯৪টির বা ৪৯ দশমিক ১১ শতাংশ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির কোম্পানির।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে এ ক্যাটাগরির ৩ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। ওই সময় বি ক্যাটাগরির ৬২৩ কোটি ২২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, এন ক্যাটাগরির ৫৮ কোটি ৭২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও জেড ক্যাটাগরির ৩৫ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। ওই সপ্তাহে সিএসইতে এ ক্যাটাগরির ১৮৩ কোটি ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৪০৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। ওই সময় বি ক্যাটাগরির ২৮ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার ১৯ টাকা, এন ক্যাটাগরির ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ টাকা ও জেড ক্যাটাগরির ১ কোটি ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৮০৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন