ঢাকা | শুক্রবার
৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শব্দদূষণে কমবে বিদেশি বিনিয়োগ

শব্দদূষণে কমবে বিদেশি
  • মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক
  • অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধ করতে হবে: ডিসি, ঝিনাইদহ

শব্দদূষণ শুধু পরিবেশ ও স্বাস্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এটির আর্থিক ক্ষতিও অনেক। শব্দদূষণে বিশ্বের মধ্যে প্রথম অবস্থান হলেও এতে বিদেশি বিনোয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে শব্দদূষণের খবর নেতিবাচক হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করে এ সমস্যার সমাধানের তাগিদ তাদের।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, সবার আগে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। শব্দদুষণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, সে উপায় বের করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হই, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য আমাদের চরিত্র পরিবর্তন করতে হবে। সর্বোপরি আমরা আমাদের রাষ্ট্রের উন্নয়নের স্বার্থে শব্দদূষণে প্রথম হতে চাই না। এটি স্বাস্থ্য ও পরিবেশের পাশাপাশি বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল বলেন, শব্দদূষণ আইন বাস্তবায়নে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। শুধু আইন প্রয়োগ করে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। ব্যাপকহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ড্রাইভার, যুবক সমাজ বিশেষ করে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে এ বিষয়ে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আর শব্দদূষণের আইন বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তবে এ আইনকে আরো যুগোপযুগী করতে হবে যাতে ট্রাফিক পুলিশ এ আইন প্রয়োগ করতে পারে। মেডিকেল অফিসার ডা. মো তালাত তাসনিম বলেন, শব্দদূষণে বধিরতার পাশাপাশি আয়ুও কমে যায়। উচ্চ রক্তচাপ বাড়াসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালিত শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের শব্দ দূষণের ওপর জরিপ করছে ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ণ কেন্দ্র (ক্যাপস)। তারই অংশ হিসেবে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের নেতৃত্বে পরিচালিত টিম ঝিনাইদহ শহরে শব্দ দূষণের মাত্রা জানতে ৫ স্থানের সাউন্ড লেভেল মিটার স্থাপন করে। এ মেশিনটি প্রতি এক মিনিট পরপর তথ্য দেবে। যার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার শব্দ দূষণের মাত্রা জানা যাবে।

ঝিনাইদহ জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী-পরিচালক শ্রীরুপ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির লেকচারার আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ছিলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো তালাত তাসনিম এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালাহ উদ্দিন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন