ঢাকা | শুক্রবার
৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিবন্ধকতা নিরসন হলে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে- রুশনারা আলী

প্রতিবন্ধকতা নিরসন হলে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে- রুশনারা আলী

বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসনে সক্ষম হলে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। অর্থনৈতিক ও সামাজিকখাতে বাংলাদেশের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকারি ও বেসরকারিখাতের সমন্বয় খুবই জরুরি বলে মতপ্রকাশ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত রুশনারা আলী, এমপি।

গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত রুশনারা আলী, এমপির সাথে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)র গুলশান সেন্টারে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বেসরকারিখাতের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণকে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। দুদেশের বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের পার্টনারশিপ সুদৃঢ়করণের উপর তিনি জোরারোপ করেন।

বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশটির দারিদ্র বিমোচনে কতটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, সেটা নিরূপনে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।   

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটেনের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, এপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মিরান আলী এবং ইউনাইটেড গ্রুপের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনউদ্দিন হাসান রশিদ যোগদান করেন।

স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই’র সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২১ সালে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪.১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশে ব্রিটেনের বিনিয়োগ প্রায় ২.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি জানান, ব্রিটেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। সামনের দিনগুলোতে রপ্তানির এ ধারা আরো বৃদ্ধি পাবে।

রিজওয়ান রাহমান ব্রিটেনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাদুকা, হালকা-প্রকৌশল, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রভৃতিখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

সভাপতি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার আগামী ২০২৯ সালের পরও বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও ব্রিটেনে রপ্তানির ক্ষেত্রে রুল অব অরিজিন সুবিধাকে আরো সহজীকরণ ও বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করেন। কৃষি এবং খাদ্যপণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণে বিদ্যমান ‘টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার্স টু ট্রেড (টিবিটি)’ হ্রাসের আহ্বান জানান।   

রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, বেসরকারিখাত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেবা ও আর্থিকখাতে ব্রিটেনের দক্ষতা রয়েছে, তবে শিল্পখাতের পণ্যের  নতুন নতুন ডিজাইনে বাংলাদেশীদের দক্ষতা উন্নয়নে ব্রিটেন বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মিরসরাইতে স্থাপিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেন, ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। 

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, বাংলাদেশের পোষাকখাত, ঔষধ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে বেশ দক্ষতা থাকলেও ডিজাইনিং-এর ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে আছে। তা ছাড়া ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশ এখন অনেক ভাল করছে এবং এখাতে ব্রিটেনের ব্যাবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সোনিয়া বশির কবির বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং ইকো-সিস্টেম তৈরিতে ব্রিটিশ বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

মিরান আলী বলেন, তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশে এখন অনেক এগিয়েছে এবং কমপ্লায়েন্সের দিক দিয়ে বাংলাদেশের কারখানাগুলো অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। তবে ভাল মানের ডিজাইনিং ও সিনথেটিক সুতা উৎপাদনে ব্রিটিশ বিনিয়োগ আকর্ষণে তিনি একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মইনউদ্দিন হাসান রশিদ বলেন, স্বাস্থ্যখাতে ভাল মানের নার্স তৈরিতে আমরা যথেষ্ট পিছিয়ে আছি। এক্ষেত্রে াব্রটেন সহযোগিতা করতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন