অতীতে লাখ লাখ মানুষ মারা যেত কলেরায় আক্রান্ত হয়ে। এই রোগটি মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এখনও এই রোগের প্রকোপ কমেনি। সমীক্ষা অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২৯ লাখ মানুষ কলেরা রোগে আক্রান্ত হন। এবং এর মধ্যে প্রায় ৯৫ হাজার মানুষই কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর এবং এর আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নমুনা পরীক্ষায় বেশিরভাগ রোগীর দেহেই কলেরার জীবাণু ধরা পড়েছে।
কলেরা কেন হয়?
অপরিচ্ছন্ন খাবার খেলে বা দূষিত পান করার কারণেই কলেরার জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। সাধারণত মানুষের শরীরে এই রোগের কারণে পানির কমতি দেখা দেয়।
কলেরা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই রোগীর শরীরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। এতে তারা ক্রমাগত বমি করেন। সংক্রমণ শুরু হওয়ার ২-৩ দিন পর থেকেই রোগীর শরীরে কলেরার লক্ষণ ফুটে ওঠে। এছাড়া কলেরা আক্রান্ত রোগীর শরীরে আরও যেসব লক্ষণ ফুটে ওঠে চলুন সেগুলো জেনে নিই-
বারবার বমি এবং মলত্যাগ হওয়া এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার একটি মূল লক্ষণ। কলেরার প্রকোপে রোগী পাতলা মলত্যাগ করে থাকেন।
ডায়ারিয়ার পাশাপাশি পায়ে আঁটুনি/লেগ ক্র্যাম্পের সমস্যাও প্রকাশ পায়।
হার্ট বিট বেড়ে যায়।
দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
রক্তচাপ কমে যায়।
বারবার পানি পিপাসা বোধ করাও কলেরার লক্ষণ।
আনন্দবাজার/টি এস পি