ঢাকা | বুধবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে চলছে চরম অস্থিরতা। এসব পণ্যের অন্যতম ভোজ্যতেলের উচ্চমূল্যে দিশেহারা ক্রেতা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাজার সহনীয় রাখতে ভোজ্যতেলের ওপর আরোপ করা মূল্য সংযোজর কর-ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল থাকবে।

বর্তমানে ভোজ্যতেলের উৎপাদন স্তরে ১৫ শতাংশ, ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ও আমদানি স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। অর্থাৎ তিন স্তরেই ভ্যাট প্রযোজ্য। নতুন নিয়মে উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে সম্পূর্ণ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুধু ভোজ্যতেল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।

গতকাল সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এ বিষয়ে এক আদেশ জারি করেছে এবং এদিন থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে।

উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়ায় ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল হবে এবং সাশ্রয়ী দামে ভোক্তা পণ্যটি কিনতে পারবে বলে আশা করছে সরকার।

এনবিআর বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও আসন্ন রমযানে জনগণ যাতে সাশ্রয়ী দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত বৃহস্প্রতিবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ভোজ্যতেলের ওপর আরোপ করা ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এনবিআর এখন এসআরও বা আদেশ জারি করে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করল।

ক্রয় কমিটির বৈঠকের পর চিনি ও ছোলার ওপর ভ্যাট কমানোর কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে এনবিআর বলেছে, চিনি ও ছোলার ওপর কোনো ভ্যাট আরোপ করা নেই।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন