ঢাকা | রবিবার
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফসলে মড়ক দিশেহারা চাষি

ফসলে মড়ক দিশেহারা চাষি

কৃষি বিভাগের অসহযোগীতায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নষ্ট হতে চলেছে ৫৮ একর জমির শাকসবজি। এমন অভিযোগ স্থানীয় চাষিদের। ইতোমধ্যে মড়ক লেগেছে বেগুন করলা, চিচিংগা, বরবটি, ঝিংগা, সরিষা, গম, টমেটোসহ নানা প্রজাতির শাক সবজিতে। বিষয়টি নিয়ে কৃষি অফিসে গিয়েও কোনো নির্দেশনা পাচ্ছেনা ওই এলাকার কৃষকরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, তাদেরকে বিষয়টি কেউ অবগত করেনি। তবে পানির সমস্যার কারনে ওই এলাকায় চাষাবাদে সমস্যা হতে পারে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের পারেরটং গ্রামের ফুল মিয়া, আজিদ মিয়া, ওয়াসিম মিয়া, হারুনুর রসিদ, রুবেল মিয়া, কবির মিয়া, রাহেলা বেগম, নাজমুল হাছান, সেলিনা, নাজির খাঁ, হাবিল খাঁ, সহ প্রায় ৬০ জন কৃষক ৫৮ একর জমিতে বেগুন, করলা, চিচিংগা, বরবটি, ঝিংগা, সরিষা, গম, টমেটো,খিরা, কুমড়া, লাঊ, ভুট্টা, সূর্যমুখী ইত্যাদি সবজি চাষ করে এতদঞ্চলের সবজির চাহিদা পূরন করে শ্রীমঙ্গলের বাহিরেও সবজি সরবরাহ করে আসছেন। ২০২১ সালে পারেরটং গ্রামে শিলা বৃষ্টিতে সবজি ও অন্যান ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। সেটা পুষিয়ে উঠার আগেই এবারও কৃষকদের জমিতে বেগুন গাছে মড়ক দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে কৃষকরা শ্রীমঙ্গল কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে কৃষি অফিসের কোনো কর্মকর্তা বা ঐ এলাকার ফিল্ড কর্মকর্তা কৃষকদের কোনো প্রকার সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষক কবির মিয়া বলেন, আমার ৫ কেয়ার জমিতে বেগুন চাষ করেছিলাম। তবে হঠাৎ বেগুন গাছগুলোতে মড়ক দেখা দেয়ায় আমি বিষয়টি কৃষি অফিসকে অবগত করি। কিন্ত আজ পর্যন্ত কৃষি অফিস হতে কোনো প্রকার সহযোগিতা পাইনি। জমিগুলোতে চাষ করতে আমার প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে গাছে মড়ক দেখা দেয়ায় আমার আশানুরুপ ফলন হবে না।

তারা আরও বলেন, যদি কৃষি বিভাগ আমাদের দিকে নজর না দেন তাহলে আমরা সাধারণ কৃষকরা কৃষি কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্যপেশার দিকে যেতে বাধ্য হবো। ওই এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু সেন চৌধুরী বলেন, কৃষক কবির মিয়া আমার ৫ কেয়ার জায়গা বর্গাচাষ করে আসছে। তবে গত বছর শিলাবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়ায় আমাকে জায়গার কোনো প্রকার ফসলাদি দেয়নি। এবারও যে অবস্থা দেখে আসলাম এবারও তো কোথা থেকে আমার দেনা পরিশোধ করবে।

এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুকুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদেরকে বিষয়টি কেউ অবগত করেনি। তবে পানির সমস্যার কারণে ওই এলাকায় চাষাবাদে সমস্যা হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন