ঢাকা | শুক্রবার
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেয়ারা চাষে লাখপতি

পেয়ারা চাষে লাখপতি

পেয়ারা একটি পুষ্টিকর সুস্বাদু ও ঔষধিগুন সম্পন্ন ফল। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি পেয়ারা দিয়ে জেলি, জ্যাম ও জুস তৈরি করা হয়। হালকা বেলে ও দো-আঁশ মাটি পেয়ারা চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো। তবে মধুপুরের লাল মাটিতে আনারস চাষের পাশাপাশি পেয়ারা চাষ করে অনেকে বেশ লাভবান হয়েছেন। এটি একটি সম্ভাবনাময় ফসল হওয়ায় অনেক শিক্ষিত তরুণ কৃষি অফিসের সহায়তায় পেয়ারা চাষের উদ্যোগ  নিয়েছে।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত দুই বছর পূর্বে মধুপুরে মোট ২৭ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ করা হয়েছিল। বর্তমানে পেয়ারা চাষ অধিক লাভবান হওয়ায় চলতি বছর ৬৫ হেক্টর জমিতে থাই-৩, থাই-৫, কাজিসহ বিভিন্ন জাতের পেয়ারা চাষ হচ্ছে। যা গত বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি। এক বিঘা জমিতে ১৫০ থেকে ১৮০টি চারাগাছ লাগানো যায়। গাছ লাগানোর ৬ মাস পর থেকে ফলন আসা শুরু করে। ১টি পেয়ারা গাছ থেকে বছরে ৭০ থেকে ৮০ কেজি ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। খরচ বাদে গড়ে প্রতি বিঘা জমি থেকে বছরে দুই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

পেয়ারা চাষি তারামিয়া বলেন, আমি ২৫ বিঘা জমিতে থাই-৩ ও থাই-৫ পেয়ারা চাষ করেছি। এখানে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। পেয়ারা ১২ মাসি ফসল হওয়ায় সারাবছর কমবেশি ফল সংগ্রহ করা যায়। বাজারে এর চাহিদাও অনেক। ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পেয়ারা চাষে লাভবান হয়েছি।

তরুণ উদ্যোক্তা পারভেজ আহমেদ জানান, পেয়ারা চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় আমি ২০বিঘা জমিতে থাই-৩ পেয়ারা চাষ করেছি। খরচ কম লাভ বেশি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেশি। চাকরির পেছনে না ঘুরে যদি উদ্যোক্তা হয়ে পেয়ারা চাষ করতে চায় তবে সফলতা আসবে বলে আমি মনে করি।

মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন রাসেল বলেন, আমরা তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণসহ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে বিষমুক্ত পেয়ারা চাষে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিদেশে কিভাবে রপ্তানি করা যায় সে বিষয়ে কাজ করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন