অর্থবছরের প্রথম থেকেই কমতে শুরু করেছিল রফতানি আয়। সেই ধারাবাহিকতায় রফতানি আয়ের পতন অব্যাহত রয়েছে। নভেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি আয় কমেছে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের তুলনায় অর্জিক আয়ও কমেছে ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বৃহস্পতিবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের রফতানি আয়ের অনেকটাই তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভয়শীল। বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ায় বছরের শুরু থেকেই কমেছে অর্ডারের পরিমাণ। এছাড়া অবকাঠমোগত সমস্যা, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন না করা, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে রফতানি বাণিজ্যের গতি কমে গেছে। একক পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে না আনলে আগামীতে রফতানি আয় আরও কমে যাবে বলে ধারণা অনেকের।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয় এক হাজার ৮০৫ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু এই সময়ে রফতানি খাত থেকে আয় হয়েছে এক হাজার ৫৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জিতের হার ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে এই বছরের নভেম্বরে রফতানি আয় হয় ৩০৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, কিন্তু লক্ষ্য ছিল ৩৭২ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় নভেম্বরে রফতানি আয় কমেছে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মোট রফতানি আয়ে পোশাকের অবদান ছিল প্রায় ৮৩ শতাংশ। তবে হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্যান্য রফতানির উপখাত হিসেবে ধরলে তৈরি পোশাক খাতের অবদান আসে ৮৫ শতাংশ। যেকারণে তৈরি পোশাকের রফতানি কমলে পুরো রফতানি খাতে এর প্রভাব পড়ে।
চলতি অর্থবছরের রফতানি আয় কমেছে বড় খাতগুলোতেও। নভেম্বরে কৃষিপণ্যের রফতানি আয় আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে ৪৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার হয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস