ডাব বিক্রিতা বাবুল
বাবলু বিশ্বাসের ৪০ বছর। রাজবাড়ী জেলার কোর্ট চত্বর, পান্না চত্বর, রেলগেট, আজাদী ময়দানসহ শহরের বিভিন্ন মোড়ে ডাব বিক্রি করতে দেখা যায় তাকে। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ডাব বিক্রি করে চলছে বাবলুর সংসার। তবে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের যে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে তাতে বাবলুর চোখে মুখে এখন হতাশার ছাপ।
ডাব বিক্রেতা বাবলু রাজবাড়ী জেলা সদরের রামকান্তপুর ইউনিয়নের মাটিপাড়া গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের সামাদ বিশ্বাসের ছেলে। তার সংসারে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে দশম ও ছোট মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
ডাব বিক্রেতা বাবলুর সঙ্গে কথা হয় কোর্ট চত্বরে। আলাপকালে বাবলু বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আমি বিভিন্ন গ্রামে পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে মানুষের বাড়ি বাড়ি থেকে অনেক কষ্ট করে গাছে উঠে ডাব কিনে আনি। পরে ভ্যানে করে সারাদিন রাজবাড়ী জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে তা বিক্রি করি। প্রতিটি ডাব আকার ভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। গড়ে প্রতিদিন ৭০টির মত ডাব বিক্রি করি। ডাব বিক্রিতে যে সামান্য আয় হয় তাতে সংসারের খরচ জোগাড় করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। বর্তমানে বাজারে চাল, ডাল, আটা, তেল, ডিম, মাছসহ সব ধরনের খাবারের দাম অনেক বেড়েছে। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। তারপর তো ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ আছেই। এরপর বৃদ্ধ মায়ের ঔষধ কিনতে হয়। সব মিলিয়ে অভাবে ও হতাশার মধ্যে পড়েছি। যারা দেশ পরিচালনা করেন তাদের কাছে অনুরোধ জানাই খাদ্যদ্রব্যের দাম যত দ্রুত সম্ভব কমাতে হবে। না হলে আমার মত যারা গরীব মানুষ তারা তো না খেয়ে মরবে।