পাহাড়েও পানি সংকট। খবরটি দিয়েছে দৈনিক আনন্দবাজার। খবরটিতে বলা হয়েছে জলবায়ুর প্রভাবে এই পানি সংকট তৈরি হয়েছে। তবে জলবায়ুর প্রভাবে যে শুধু পাহাড়েই পানি সংকট হচ্ছে তা কিন্তু নয়। জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব আমাদের দেশের সমতলেও পড়েছে কঠিনভাবে। পানির স্তর নেমে যাওয়া থেকে শুরু করে নানান বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। যা স্বাভাবিক জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। পানির চলমান উৎস্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে ৷ নদী-নালা-খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির। কোনোটিরই অবস্থা স্বাভাবিক নেই। প্রবাহমান খরস্রোতা নদী এখন খালে পরিণত হচ্ছে। জলবায়ুর প্রভাবে বন, গাছ পালারও যথেষ্ট ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
বন গাছপালা কমে যাওয়ার ফলে সূর্যের আলো সরাসরি মাটিতে পড়ছে। পানি শোষণ হচ্ছে অস্বাভাবিক। যা মাটিকে জলীয়বাষ্পহীন করে তুলছে। জলবায়ুর এই প্রভাব সমতলের চেয়ে অবশ্য পাহাড়ি অঞ্চলে বেশি সমস্যা তৈরি করছে। পাহাড়ি জীবন যাত্রা কঠিন করে ফেলেছে। শুষ্ক মওসুম আসার আগেই পানির যে সংকট দেখা দিয়েছে তাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এখনই অচল হয়ে পড়েছে। সেখানে শুষ্ক মওসুমে ঐ এলাকার মানুষের অবস্থা কি হবে। নিরাপদ পানির কোন ব্যবস্থা নেই৷ গ্রীষ্ম মওসুমে পানি অভাবে পাহাড়ের মানুষের বসবাস কঠিন হয়ে পড়বে৷ দীঘিনালার মত দূর্গম পাহাড়ি এলাকার জনপদের মানুষের জীবন এখনই পানির হাহাকারে দূর্বিষহ। তাদের কূয়া বা ছড়া কোথাও পানি উঠছে না৷ পানির জন্য দূরদূরান্ত গিয়েও পানি মিলছে না।
এক কলস পানির জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আবার সে পানি নিয়ে শিশুদের খাওয়ালে ডায়রিয়া দেখা দিচ্ছে। ঐ সব এলাকার মানুষকে বাঁচতে হলে নিরাপদ পানির প্রয়োজন। যা একমাত্র সরকারি উদ্যোগেই সরবারাহ করা সম্ভব। ঐ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও নেই৷ সোলার বসানোরও কোন ব্যবস্থা নেই। যদিও পানি সরবরাহের ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী উদ্যোগের কথা বলেছেন৷ তবে সেটি কবে হবে তা নিশ্চিত করেন নি। সরকারিভাবে যত দ্রুত সম্ভব পানির এই হাহাকার অবস্থা থেকে দূর্গম পাহাড়িবাসীকে রক্ষা করতে হবে এবং তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে।