ঢাকা | বুধবার
১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বোরো চাষে ব্যস্ত চাষি

বোরো চাষে ব্যস্ত চাষি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো চারার যত্ন নিতে চারা নিড়ানি, কিটনাশক, সার প্রয়োগ ও সেচ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে উলিপুরের কৃষকরা। আমন ধানের বাম্পার ফলন আর দাম ভলো পাওয়ায় ঠান্ডা উপেক্ষা করে কৃষকরা বোরো আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। সবমিলিয়ে কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝলক দেখা যাচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঠান্ডা উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি নিড়ানি আর সেচ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। নারী-পুরুষরা দল বেঁধে বোরো ধানের জমি নিড়ানি দিচ্ছে। আবার কেউ জমিতে কিটনাশক এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া গ্রামের কৃষক আমজাদ আলী জানান, রাসায়নিক সার ও ডিজেল তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে এ বছরে লাভ কম হবে। বোরো মৌসুমে ইট ভাটার কারণে শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ শ্রমিক ইট ভাটা কাজ করে। ৩’শ টাকা মূল্যের একজন শ্রমিককে ৫’শ টাকা দিয়েও পাওয়া যায়না।

একই এলাকার আদর্শ কৃষক আশরাফ আলী খন্দকার জানান, তিনি ২৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছেন। আর বর্গা দিয়েছেন ১২ বিঘা জমি। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ধানের বীজ রোপন, কাদা করা, ওষুধ বাবদ এক হাজার টাকা, জমি চাষ করা বাবদ ৮’শ ২৫ টাকা, দিনমজুর কর্তৃক চারা রোপন ১ হাজার ৫০ টাকা, চাষের সার কেনা বাবদ ১ হাজার ৫’শ টাকা, ওষুধ প্রয়াগ ৪’শ টাকা, নিড়ানী দেয়া ৮’শ টাকা। এছাড়া ৩ মাস পানি সেচ বাবদ ২ হাজার ৩ টাকা, ধান কাটা-মাড়াই ৪হাজার টাকা সহ অন্যান্য আরো ১ হাজার টাকা। এ নিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে চাষাবাদ বাবদ সর্বমোট খরচ হবে ১৩ হাজার থেকে ১৪হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়াসহ দাম ভালো পাওয়া গেলে এই খরচ আর পরিশ্রম দুই সার্থক হবে। কৃষক হাফিজুর রহমানের মতো একই কথা বলেন উপজেলার অন্যান্য কৃষকরাও।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এবার বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১ হাজার ১৭৬ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ২৯২ মেট্রিক টন।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, বোরো ধান রোপণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সার প্রয়োগ, নিড়ানি ও সেচ দেয়ার কাজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন