শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৬৩ ভাগ। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি মাসসহ গত সাত মাসের এডিবি পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল রবিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ পর্যালোচনায় সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি প্রধান অতিথি এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৩৩টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২টি কারিগরি সহায়তা এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে ২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে মোট ২ হাজার ৫৬৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেন, জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক। তবে কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করার তাগিদ দেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা এখনও অর্জিত হয়নি। তিনি প্রকল্পের মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, বিসিক একটি বড় প্রতিষ্ঠান, তাই প্রতিষ্ঠানের সকলকে আরও কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তি/সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে একত্রে কাজ করতে হবে মর্মে তিনি সভায় সকলকে আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর অনুকূলে সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি মন্থর গতিতে চলছে। কৃষকের দোরগোড়ায় সার সরবরাহ পৌঁছে দিতে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। দেশের কোথাও সারের মূল্য বৃদ্ধি, ওজনে কম, সারের বস্তায় ওজনে কম দেয়া ইত্যাদি পরিলক্ষিত হলে সিন্ডিকেটকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা প্রকল্প কাজের অগ্রগতি এবং নির্দেশনাসমূহ অনুসরণে সচেষ্ট থাকার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।