লালমনিরহাট সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০ মিনিটের শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চলে প্রায় ২০ মিনিট ধরে। এতে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, গম, ভুট্টা, ইরিধান ও আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলা বৃষ্টিতে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিপাকে পড়ে হাজারো কৃষক।
লালমনিহাটের ৫ উপজেলায় সোমবার সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। সারাদিন ছিল কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়া। অনেকে ঘর থেকে বেরোতে পারেনি। লালমনিরহাটে সদরের বড়বাড়ি, আদিতমারীর কমলাবাড়িও কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক শিলা ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। শিলাবৃষ্টি কারণে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, গম, ভুট্টা, ইরিধান ও আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমন শিলাবৃষ্টি জীবনে দেখি নাই বাহে। আলু, পিয়াজ, তামাকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাঁচ বিঘার তামাক আর আলু ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে এ শিলাবৃষ্টিতে। চলবালা ইউনিয়নের কৃষক শাহ আলী জানান, জমিতে আলু লাগাইছি এ শিলা বৃষ্টিতে আলুর ক্ষতি হয়েছে। যেটা ব্যয় করেছি, আলু এখন সে টাকা উঠবে না। আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক রহিম উদ্দিন জানান, বিকেল থেকেই বৃষ্টি হয়েছিল। হঠাৎ দমকা ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। এর একটু পরেই শুরু হয় প্রচুর শিলাবৃষ্টি। এতে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ জানান, সদর উপজেলায় ও কালীগঞ্জ উপজেলাসহ বেশ কিছু স্থানে প্রচুর শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে আলু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, তামাকসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা সম্ভব নয়।
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। শিলা বৃষ্টরি কারণে ফসলে ও আমরে মুকুলেও অনেক ক্ষতি হয়ছে। সোমবার বিকলে চারটার পর থেক জেলার বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। দমকা হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে গাছপালাসহ আমের মুকুলে ব্যপক ক্ষতি হয়। জেলা সদরের রুহিয়া, ভুল্লি ঢোলারহাটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে তুমুল বেগে দমকা হাওয়া শিলা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। শিলা বৃষ্টির কারণে আমের মুকুল, গম ভুট্টাসহ ফসলরে ক্ষতরি সম্মুখীন হেেয়ছ কৃষকরা। শিলা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কবলে ব্যহত হয়েছে স্বাভাবিক চলাফেরা।