ঢাকা | বুধবার
৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিকাদানে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম

টিকাদানে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম
  • ৮৬ ভাগ প্রথম ও ৬৫ ভাগ পেয়েছে দ্বিতীয় ডোজ
  • ২৬ ফেব্রুয়ারির পরও চলবে প্রথম ডোজ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের অনেক দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে জার্মানি ১৭ কোটি, রাশিয়া ১৬ কোটি, তুরস্ক ১৪ কোটি, থাইল্যান্ডে ১২ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে। সেখানে আমরা সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস-বিসিপিএস ভবনে ‘আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য একদিনে এক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ডোজ। সেদিক থেকে আমরা টিকায় অনেক এগিয়ে আছি। আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রশংসা করে জানিয়েছে, বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনে বাংলাদেশ দশম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৮ কোটি টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে মোট সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের টার্গেটকৃত মানুষের শতকরা ৮৬ ভাগ প্রথম ডোজ, ৬৫ ভাগকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে ৩২ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আমরা স্কুলের বাচ্চাদের দেড় কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমরা গত দুই বছর কাজ করছি এবং সফলতার সঙ্গে মহামারি মোকাবিলা করেছি। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন এবং প্রশংসা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিশ্ব নেতা আমাদের টিকা কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন।

২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা কর্মসূচির পরিকল্পনার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, আমরা ওইদিন এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। ওয়ার্ড কমিটি, জেলা ও সিটি কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। সবার সহযোগিতা চাই।

তিনি বলেন, শ্রমিক কর্মচারীরা যখন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে টিকা নেবেন, সেটি তার কর্মঘণ্টার মধ্যেই যুক্ত হবে। এনিয়ে আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হকসহ প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন