বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ কিন্তু পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবেলা করতে না পারায় প্রতিবছর কৃষকদের প্রচুর লোকসান গুনতে হয়। অন্যদিকে প্রতিবছর দেশে ফসলের ক্ষতি বা পোস্ট হারভেস্ট লস হচ্ছে প্রায় ৭৮ লাখ টন। এসব শস্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মূল্য প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রত্যক্ষ ক্ষতি হচ্ছে ৩১ হাজার কোটি টাকা।
রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
সভায় বক্তরা জানান, ফসল কাটার পর ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারলে কৃষককে ন্যায্য দাম দেওয়া সম্ভব। আবার সামনের দিনে জমি ও পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব। বাংলাদেশে প্রায় চার কোটি মানুষ প্রয়োজনীয় ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারছে না। অথচ দেশে বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার খাদ্য অপচয় হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতদের শ্রম, সময় ও উপকরণ যোগ দিলে সেই অপচয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবদুর রৌফ বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। নিজেদের সামর্থ্য বাড়াতে হবে। খাদ্য অপচয় রোধ করতে পারিবারিক ও স্কুল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসেফ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম ও হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড যৌথভাবে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবদুর রৌফ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খান, বিসেফ ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বিটিভির মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাইদ শাহীন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস