সাগরের শৈবাল বা সি-উইডের বাণিজ্যিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিওআরআই) মহাপরিচালক সাইদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। তিনি বলেছেন, সি-উইড থেকে ফুড সেক্টর ও কসমেটিক সেক্টরে ব্যবহারের জন্য এগারএগার ও কেরাভিন তৈরি করে বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য পাইলটিং প্রজেক্ট পরিচালনা করছি।
সেন্টমার্টিন এলাকাতে সি-উইড থেকে চারটি প্রজাতির মূল্যবান এগারএগার ও ২ ধরণের কেরাভিন নিয়ে কাজ করছি। এসব এখন বিদেশ থেকে আমদানি করে নিয়ে আসা হয়। ইতোমধ্যে কালচার পেড তৈরি করেছি।
বিওআরআই মহাপরিচালক আরো বলছেন, টেকনাফ থেকে শুরু করে কুতুবদিয়া মহেশখালি পর্যন্ত সি-উইডের ছোট ছোট কাজ হচ্ছে। এটার বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে গ্যাস হাইড্রেন্ট যে এলাকায় পাওয়া গেছে সেখানে যাওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের তৈরি হয়নি। ৩২ মিটার একটি জাহাজ ক্রয়ের জন্য একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে একটি প্রকল্প। জাহাজটি পেলে সমুদ্রের নিচে আরো কি কি ধরণের সম্পদ রয়েছে তা আমরা আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবো।
সাইদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, এখন আমরা সমুদ্র থেকে মাত্র ১২ থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে যেতে পারছি। ফিশিং বোড ভাড়া করে খুব ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালাচ্ছি। তবে সীমিত সক্ষমতা দিয়েই বেশ কিছু মূল্যবান খনিজ পেয়েছি। এখানে বালিতে পাওয়া ইউরেনিয়ামের মাত্রা আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে বেশি। তাছাড়া যেসব মূল্যবান খনিজ আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছে তা উত্তোলন করতে পারলে তেল-গ্যাস ছাড়াই আমরা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারবো।
বিওআরআই মহাপরিচালক বলেন, গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ আহরণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণের অনুমতি দেওয়া হলেও কোনো প্রতিষ্ঠান এখনো মাছ ধরা শুরু করতে পারেনি। তবে চীন থেকে এসে জেলেরা আমাদের সীমান্তের কাছ থেকে টুনা মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
আনন্দবাজার/শহক