করোনাভাইরাস কালে ১জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে১১টি শর্তে গণপরিবহন চলতে অনুমতি দেয় সরকার। শুরুতে কিছুদিন ঠিক থাকলেও এখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এমনিতে সরকারের নির্দেশিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করে। সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে আছে শ্রমিক সংগঠনের কাছে।
বিভিন্ন সংগঠনের দাবিতে ১ সেপ্টম্বর থেকে ফিরেছে আগের ভাড়ায়।এই দেশেই শ্রমিক সংগঠন, চালক ও হেলপারের মুখের ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় হয়। বেশি ভাড়া না দিলে নাজেহাল সহ ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় ।”যত দোষ নন্দ ঘোষের মতোই”সকাল ও সন্ধা অফিস খোলা ও ছুটির সময় হুট করে ভাড়া বৃদ্ধি হয়। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন বৃহস্পতিবার, শুক্রবার গ্রামমুখী ও শহরমুখী মানুষকে জিম্মি করে বেশি ভাড়া আদায় করেন।
ভাড়া নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করে যাতায়াত করছেন গ্রাম ও শহরের মানুষ ।মাঝে মধ্যে বিআরটিএর অভিযান পরিচালনা করলেও তা কাছ হচ্ছে না।মূলত গণপরিবহন খাতে পরিবর্তন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার সরকারের- সাধারণ মানুষের দাবি। বরাবরই পেশীশক্তি নির্ভর গণপরিবহনের নাগাম টেনে ধরা যায়নি। দেশে ডিজিটালের ছোঁয়া লাগেনি এমন খাত পাওয়া যাবে খুবই কম। গ্রাম থেকে শহর পযন্ত দিন দিন বাড়ছে ই- কমার্স, অনলাইন শপিং তবে আমাদের গণপরিবহন রয়ে আছে সেই আদি যুগে।
পরিবহন যোগাযোগে নেই মনিটরিং নেই কোন সংস্থা। গণপরিবহন খাতে লাগেনি কোন ডিজিটাল ছোঁয়া।অথচ ভাড়ার টিকেট থেকে শুরু করে পুরো খাতকে ডিজিটাল করে সহজ নিয়ন্ত্রণ করে যাত্রী হয়রানি রোধ করা সম্ভব। কিন্তু বাঁধা হয়ে আছে কিছু চাঁদাবাজ মালিক ও শ্রমিক নেতা। পরিবহন ভাড়া নৈরাজ্য সহ সকল কিছু দূর করতে হলে
পরিবহন খাতকে সংস্কার করে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।সব বাঁধা দূর করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি। তবেই দূর হবে ভাড়া নৈরাজ্য।
লেখক: এইচ এম শহীদ
লেখক ২ সংবাদকর্মী