ঢাকা | শনিবার
১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপোষহীন উপাচার্য প্রফেসর কলিমউল্লাহ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েই ক্ষান্ত হননি, তিনি নিরলস পরিশ্রম, মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ রেখেই চলেছেন প্রতিনিয়ত। মহামারী করোনার এই ভয়ংকর থাবায় যখন সারা বিশ্ব নিশ্চুপ, লাশের সারি হচ্ছে বড়, মহামারী থেকে পরিত্রাণ পেতে এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করছে একটু প্রাণের আকুতিতে, বিশ্ব অর্থনীতি যখন অমানিশার করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হতে চলেছে সেখানে ব্যতিক্রমী আমাদের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সার্বক্ষণিক ভাবনায় ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন তিনি। নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেনও সে ভাবনা বাস্তবায়নে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের এই কঠিন বাস্তবতায় আমাদের মাননীয় উপাচার্য মহোদয় প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ যেমন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনসার ক্যাম্প নির্মাণ এবং ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনের নানান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, একাডেমিক ভবনসংশ্লিষ্ট রাস্তা মেরামতের কাজ সার্বক্ষণিক তদারকি ও পরামর্শ দিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন। একজন দৃঢ়চেতা ও কর্মক্ষম কান্ডারীর হাতেই এমন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সম্ভব। যেকোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কিছু কৌশলগত পরিকল্পনা আবশ্যক। আমাদের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের কৌশলগত পরিকল্পনা আর সাহসিকতার সমন্বয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করেই যাচ্ছেন। এই বয়সেও স্যারের পরিশ্রমের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকা অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর উন্নয়ন যেন তার ব্রত হয়ে গিয়েছে। বেরোবি এবং মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও যেন একে অপরের পরিপূরক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর সংবাদমাধ্যমে চিত্রায়িত হতো নেতিবাচকভাবে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্যম্পাসের অস্থিতিশীল পরিবেশ ইত্যাদি ছিল সংবাদমাধ্যমের খোরাক। বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ বেরোবি নিজস্ব কক্ষপথে পদার্পণ করছে। উপাচার্য মহোদয়ের নিরলস পরিশ্রম, কর্মদক্ষতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সার্বক্ষণিক তদারকিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি সঞ্চারিত হয়েছে। এই দুঃসময়েও স্যার সম্মানিত শিক্ষকদের পদোন্নতির কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন, শিক্ষকদের গবেষণা তহবিলের দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ পরিশোধ করেছেন। নবনিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণও থেমে নেই। শত ব্যস্ততা ও প্রতিকূলতার মাঝেও স্যার চিরমহিমায় ভাস্বর। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজতো চলছেই, করোনার এই দুঃসময়ে স্যার যেন আপোষহীন, অনন্য। দুর্নীতি আর অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেননি স্যার। যেখানে অন্যায়, দুর্নীতি সেখানেই তিনি আপোষহীন। এজন্য স্যারের বিরোধীতাও করছেন কেউ কেউ।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এ যোগদানের পর থেকেই স্যার যেসকল কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন প্রায় সকল কর্মসূচিই সফলতায় আচ্ছন্ন। প্রাদপ্রদীপের আলোর নীচে এসে হাত বদলে থমকে যায়নি কোন কর্মসূচি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ‘শেখ হাসিনা’ হল এবং ‘ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট’-এর অবকাঠামোগত কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সর্বপ্রথম ‘ক্যাম্পাস রেডিও’ স্যারের হাত ধরেই বেরোবিতে চালু হয়েছে। বেরোবি পরিবারের সদস্যদের ইন্টারনেট সুবিধার জন্য পুরো ক্যাম্পাসকে ওয়াইফাই এর আওতায় নিয়ে আসা, অত্যাধুনিক ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধন, পারিতোষিক হালনাগাদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন ক্রয়, বাসের রুট বরাদ্দ, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ক্যাফেটেরিয়া চালু করা, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা, ই-ফাইলিং, একাডেমিক ভবনের সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন, প্রমীলা টুর্নামেন্ট চালু করাসহ নানান পদক্ষেপ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা স্যারের আধুনিক চিন্তার প্রতিফলন। এসব চিন্তা করতে সাহস-পরিশ্রম-মেধা-নিষ্ঠা আর যোগ্যতার সমন্বয় লাগে, সর্বোপরি সততা এবং বুকের পাটা লাগে। বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক, জাগতিক বাস্তবতার উপর ভর করে স্যারের কর্মক্ষমতা ও সম্মোহনী ক্ষমতাবলে বেরোবিকে বিশ্ব পরিমন্ডলে অনন্য উচ্চতায় দেখবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

লেখকঃ
মোঃ সারোয়ার আহমাদ
প্রভাষক
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

সংবাদটি শেয়ার করুন