ঢাকা | সোমবার
১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রফতানি-কর্মসংস্থানের হাতছানি

রফতানি-কর্মসংস্থানের হাতছানি

সাতক্ষীরার শুঁটকি পল্লী

সাতক্ষীরার তালায় শুরু হয়েছে বাণিজ্যিকভিত্তিতে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ। এতে নতুন করে আশার আলো সঞ্চার হয়েছে এখানকার মাছ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে। উৎপাদিত শুঁটকি স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশে ও দেশের বাহিরে রফতানির সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তালার খলিষখালী ইউনিয়নের দলুয়া বাজরের সন্নিকটে ও শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের গা ঘেঁষে একটি শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ পল্লী তৈরি করা হয়েছে। পল্লীতে সিলভার কার্প, দেশীয় স্বরপুঁটি, ছোট পুঁটি, জাপানি পুঁটি, টেংরা, টাকি ও মিষ্টি পানির সাদা মাছের বাচ্চা শুঁটকি করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ মণ মাছ শুটকি হিসেবে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। সাধারণত লোনা পানির চিংড়ি, টেংরা, ছুরিসহ বিভিন্ন মাছ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খাওয়ার জন্য শুঁটকিতে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তবে  ব্যতিক্রমী ভাবে এখানে মিষ্টি পানির মাছ শুঁটকি হিসেবে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে।

শুঁটকিপল্লীর এক কর্মচারী বলেন, মিষ্টি পানির এসকল মাছ আমাদের বাংলাদেশের লোকজন কম খায়। এগুলো ভারতসহ অন্যসকল দেশের মানুষরা ভক্তি করে খায়। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি পানির মাছগুলো শুটকি মাছে রূপান্তর করা হচ্ছে। শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ী মাষ্টার কবির হোসেন জানান, সারাদেশে শুঁটকি পল্লী চলছে তাই আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি। অনুমোদন পেলে দেশের বাহিরেও রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী জানান, সকল প্রকারের মিষ্টি ও লোনা পানির মাছ শুঁটকি তৈরি করা যাবে। তবে শুঁটকি পল্লী তৈরি করতে অবশ্যই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন