ঢাকা | শুক্রবার
২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোগ-বিলাস নয় সেবায় জনপ্রতিনিধিদের কাজ- প্রধানমন্ত্রী

ভোগ-বিলাস নয় সেবায় জনপ্রতিনিধিদের কাজ

নিজের ভোগ-বিলাসের কথা না ভেবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে সেবা করতে হবে। কেননা জনগণ কখনো ভুল করে না, এটা হলো বাস্তবতা। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন তার আরেকটি প্রমাণ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে শপথ বাক্য পাঠ করান। কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারায় এটিই প্রতীয়মান হয়েছে, জনগণ কখনো ভুল করে না, এটা হল বাস্তবতা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেটাই প্রতিভাত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ^াস করি, গণতন্ত্রে এবং জনগণের ভোটের অধিকারে। জনগণই ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো প্রার্থী নির্বাচন করবে, যারা তাদের জন্য কাজ করবে। কাজেই জনগণের ওপর আস্থা রেখেই সব রকম কাজ করি।

নারায়ণগঞ্জে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, নাসিক নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বিরাট দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল। নারায়ণগঞ্জবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দলের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করাতেও তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান।

গত ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনেও মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আইভী। এবারের নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন নির্বাচিত হন। ২৭ জানুয়ারি বিজয়ীদের গেজেট প্রকাশিত হয়।

নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী এবং বিএনপিনেতা তৈমুর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পান ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি কথা মনে রাখতে হবে, জনগণ ভোট দিয়েছে, আস্থা রেখেছে, বিশ্বাস করেছে। জনগণের সেই আস্থা, বিশ্বাসের মূল্যায়ন করতে হবে। ভোটের মাঠে জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে না গিয়ে তাদের কল্যাণে কাজ করতে জনপ্রতিনিধিদের করতে হবে। বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতার দায়িত্ব নিজের স্বার্থ না দেখে পরের স্বার্থে কাজ করা, জনগণকে কতটুকু দিতে পারলাম, কতটা করতে পারলাম, সেটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। যতটুকু আপনি দিতে পারবেন, তাতে আপনার তৃপ্তি। নিজের ভোগ-বিলাস নয়, রাজনৈতিক নেতা হলে জনগণের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে হয়।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীর সার্বিক উন্নয়নে অনেক পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। অনেক প্রজেক্ট আমরা দিয়েছি। সেগুলো যেন যথাযথভাবে পালন করা হয়। কারণ যে শপথ আপনারা নিয়েছেন জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন বলে, সেটা যেন কখনও ভুলে না যান।

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হবে বলে আশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বলেন, আবার স্কুল-কলেজ খুলে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাবে। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়া হচ্ছে। আমরা গবেষণা ও ট্রেনিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন