ঢাকা | শুক্রবার
২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবমুক্তির অপেক্ষায় ২০ শকুন

অবমুক্তির অপেক্ষায় ২০ শকুন

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বাংলাদেশে এক মাত্র শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে ২০টি শকুন অবমুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বিলুপ্ত  প্রায় এ প্রাণীকে রক্ষায় সরকার নানা রকম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় শকুনের বিকল্প নেই। পরিবেশবিদদের এমন মন্তব্যে সরকার বীরগঞ্জে বাংলাদেশের একমাত্র শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র চালু করেছে। দিনাজপুর সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসুস্থ ও আহত শকুন উদ্ধার করে শকুন রক্ষা এবং বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ কেন্দ্রে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। সুস্থ্য হলে আবার তাদেরকে অবমুক্ত করা হয় মুক্ত আকাশে।

প্রকৃতির ঝাড়ুদার হিসেবে পরিচিত বিলুপ্ত প্রায় শকুন শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া এসব শকুন অনেক সময়ই অসুস্থ হয়ে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নামে বাচার আশায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব শকুনের পরিণতি হতো মৃত্যু। দিনাজপুরে বীরগঞ্জ উপজেলার জাতীয় উদ্যান সিংড়া ফরেস্টে বাংলাদেশে একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টগেছে। প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি উদ্ধার করা শকুন পরিচর্যা করে অবমুক্ত করা হয়।

 সিংড়া ফরেস্ট বনবিভাগের কর্মকর্তা (রেঞ্জার) হরিপদ দেবনাথ জানান, শীত মৌসুমে অন্যদেশ থেকে আসা ক্লান্ত ও অসুস্থ শকুনকে বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে তাদেরকে এ পরিচর্যা কেন্দ্রে এনে রেখে সুস্থ্য করে তোলা হয়। পরিবেশের জন্য ভীষণ উপকারি এ পাখিগুলো এক নজর দেখতে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে ভিড় জমায় শত শত দর্শনার্থী।

বীরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় উদ্যান সিংড়া ফরেস্টে গড়ে তোলা পরিচর্যা কেন্দ্রে শকুনের দেখার দ্বায়িত্বে থাকা বাঁশেরহাট ভেটেনারী কলেজের চিকিৎসক খাদিজা বেগম জানায়, পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা ২০ টি শুকুন অনেক ভালো রয়েছে। তাবে তাদের জন্য আরো ২/১টি খাঁচা দরকার। যেখানে নতুন শকুন এনে ৫/৭ দিন রেখে মুল খাঁচায় রাখা যেতে পারে। শকুনই একমাত্র প্রাণী, যা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষা, খুরারোগের সংক্রমণ থেকে অবশিষ্ট জীবকুলকে রক্ষা করে। কিন্তু বড় বড় গাছ, খাদ্যের অভাব ছাড়াও বাংলাদেশে ডাইক্লোফেনাকের যথেষ্ট ব্যবহারের কারণে শকুন বিলুপ্তির মুখে।

সংবাদটি শেয়ার করুন