লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরির হাট মেঘনা নদীতে থেকে অবৈধ বিশেষ কম্বিং অপারেশনে ৫০ হাজার মিটার অবৈধ ফুটা এবং কারেন্ট জাল উদ্ধার করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। পওে জব্দ করা জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। গত রবিবার থেকে গতকাল শনিবার দিনব্যাপি পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চররমনী মোহন এবং ভোলার চরকাটা খাল, মেঘার চর এলাকার মেঘনা নদী থেকে এসব জাল জব্দ করা হয়।
জানাযায়, মেঘনা নদীতে কিছু মাছধরা ট্রলারে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছে জেলেরা। মেঘনা নদীতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জেলে কয়েক হাজার খুঁটি গাড়িয়ে নদীর চতুর্দিকে বাঁধ দিয়ে ফোঁটা জাল ব্যবহার করে মাছ ধরে আসছে। জালগুলো বিভিন্ন জাতের মাছের রেনু পোনা, ডিম নষ্ট করে থাকে এবং জাটকা ইলিশের জন্য ক্ষতি করে। জলজ পরিবেশ নষ্ট করে থাকে। এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান করে মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্টগার্ড এর সহায়তায় সম্বলিত বিশেষ কম্বিং অপারেশনের সদস্যরা। সদস্যদের দেখে জেলেরা পালিয়ে গেলেও তাদের ব্যবহার করা জাল জব্ধ করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে কোষ্টগার্ডে সদস্যরা।
পরে মজুচৌধুরীর ঘাটে এনে জব্দ করা জালের পরিমাপ করে দেখা যায়, এতে অবৈধ কারেন্ট জাল এবং ফোটা জাল রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মিটার। এসব জালের বর্তমান বাজার মূল্য রয়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্টগার্ড এর সহায়তায় বিশেষ কম্বিং অপারেশনে তৃতীয় ধাপের অষ্টম দিনে ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ফোটা জাল মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। যে জালগুলো বিভিন্ন জাতের রেনু পোনা, মাছের ডিম নষ্ট করে থাকে এবং জাটকা ইলিশের জন্য ক্ষতি করে। উক্ত জাল জনসমক্ষে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।