বরিশালের বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এক পরিবারের সকল সদস্যকে রাতের আঁধারে চেতনানাশক খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নেওয়া হয়েছে। ওই সময় বাসার সবচে সিনিয়র নাগরিক মেলকাম ডি কস্তাকে (৯৪) মারধর করা হয়। শনিবার রাতের এ ঘটনায় ডি কস্তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গতবছর একই এলাকায় শান্তি গোমেজ নামের এক ব্যক্তির বাসায় অনুরুপ ঘটনা ঘটে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনায় মামলা বিচারাধীন আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যারাতে এক যুবক পানি খেতে এসে ডি কস্তার বাসার খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। ওই খাবার খেয়ে রাতে একে একে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়লেও ডি কস্তার কিছুটা চেতনাবোধ ছিল। এসময় খোলা জানালা দিয়ে অন্তত ৩ যুবক বাসায় প্রবেশ করলে ডি কস্তা তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করা হয়। পরে তিনিও অচেতন হয়ে পড়লে যুবকেরা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যায়। ডি কস্তার স্বজন হ্যাভেন গোমেজ জানান, মেলকাম ডি কস্তা, তার ছেলে ডিউক, নাতি এবং পুত্রবধূসহ ৫ জনকে রোববার সকালে প্রতিবেশিরা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মেলকাম ডি কস্তা, নাতি এবং পুত্রবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানান, শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে মেলকাম ডি কস্তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং এ ঘটনায় কারা জড়িত তা জানতে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করাসহ তাদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে, জানান ওসি।
আনন্দবাজার/এম.আর