ঢাকা | বুধবার
৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়পুকুরিয়া খনিতে বন্ধ কয়লা উত্তোলন

বড়পুকুরিয়া খনিতে বন্ধ কয়লা উত্তোলন
  • তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানী সংকটের শঙ্কা
  • চীনা কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ করোনা আক্রান্ত ৮১

আশংকাজনক হারে করোনাসংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন স্থগিত করেছে খনি কর্তৃপক্ষ। গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণে খনির ব্যবস্থপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামানসহ ৩১ কর্মকর্তা ও খনিতে কর্মরত ২৯৩ চীনা নাগরিকের মধ্যে ১৮৪ করোনা পরীক্ষায় ৫০ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। আরও অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি করোনা উপসর্গে ভোগায় বাংলাদেশি খনিশ্রমিকদের ছুটি দিয়ে কয়লা উত্তোলন স্থগিত করা হয়েছে।

খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানী সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী সরকার। তিনি বলেন, এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রয়োজনীয় জ¦ালানীর একমাত্র উৎস বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি। আগামী দুই মাসের মধ্যে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা না গেলে নিশ্চিত জ্বালানী সংকটে পড়বে কয়লাভিত্তিক এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান নিজের করোনায় আক্রান্তের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, খনিতে ২৯৩ চিনা নাগরিকের মধ্যে ৫০ ও খনির বাংলাদেশি ৭২ কর্মকর্তার মধ্যে ৩১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত হয়েছে। এদিকে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে ও তাদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কয়লা উত্তোলন স্থগিত থাকায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহে সংকটের আশংকাকে নাকচ করে তিনি বলেন, বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। এ কয়লা শেষ হওয়ার পূর্বে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খনিতে প্রবেশে দেশীয় শ্রমিক-কর্মচারীদের কঠোর বিধি নিষেধের মুখোমুখি হতে হলেও চীনা শ্রমিকদের অবাধে খনিতে যাতায়াতের সুযোগ বর্তমান সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধির কারণ বলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন