জগন্নাথপুর পৌরসভা—
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যত্রতত্র ময়লার স্তুপ। অব্যবস্থাপনায় ময়লা-আর্বজনার বৃহৎভাগাড়ে পরিণত হয়েছে টিএন্ডটি অফিসের আশপাশ ও রাস্তাঘাট, অলিগলি সর্বত্রই ময়লা-আর্বজনার ছড়াছড়ি। চারদিকের উৎকট গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। যে কারণে জগন্নাথপুর উপজেলার ইউনিয়ন থেকে হাট-বাজারে আসা মানুষ এখন চলাফেরা করতে হয় নাক টিপে। ময়লা-আর্বজনার উৎকট গন্ধ জীবনকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেললেও এর বিন্দুমাত্রও টের পান না পৌরসভার কর্মকর্তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, টিএন্ডটি অফিস, সবজিবাজার, মাছবাজার, মাদ্রাসাপয়েন্ট ও জগন্নাথপুর পৌর ব্রিজের পাশে যত্রতত্র ময়লা-আর্বজনা ফেলে রাখা হচ্ছে। ময়লার ভাগাড় থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ বের হওয়ার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারি দুষণের শিকার হচ্ছেন। জগন্নাথপুরের প্রবেশমুখে ময়লা স্থানান্তরকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। পথচারিরা বলেন, যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে পুরো পৌর শহরই ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দ্রুত আর্বজনা পরিষ্কারের দাবি জানান তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ হোসেন বলেন, যে কোনো স্থানে ময়লা-আবর্জনা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ময়লা-আবর্জনা যেখানে থাকে সেখানে জীবাণু ছাড়ানোর সম্ভবনা থাকে বেশি। হতে পারে ডায়েরিয়া জনিতরোগ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
জগন্নাথপুর পৌর মেয়র আক্তারুজ্জামান আক্তার বলেন, আমরা পৌরবাসীর যেন কোনো ধরণের ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করবো। সড়কের পাশেই ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে পথচারিসহ এলাকাবাসির সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। পৌরবাসীকে যত্রতত্র ময়লা ফেলা থেকে সচেতন হতে হবে এবং নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে হবে। আপাতত পৌরসভার ময়লা ফেলার কোনো জায়গা নেই। তবে ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জায়গার অভাবে হচ্ছে না। যদি আমরা অচিরেই জায়গা দিতে পারি তাহলে আমাদের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানের অভাব থাকবেনা।
আনন্দবাজার/এম.আর