সাংবাদিক হাবীব রহমানের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)তে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সময়ের আলোর নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদসহ তার সহকর্মী ও স্বজনরা।
এদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা এবং ৪ টায় তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার কর্মস্থল দৈনিক সময়ের আলো কার্যালয়ে। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীব বুধবার রাত আড়াইটার পর রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাবীবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার) প্রধানমন্ত্রী প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় একথা জানানো হয়।
শোক বার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে মোটরসাইকেল আরোহী সাংবাদিক হাবীব রহমান দুর্ঘটনা কবলিত নাকি হত্যার শিকার তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। তার ব্যবহার করা মোটরসাইকেলটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং ময়নাতদন্ত শেষে এ বিষয়ে জানানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
হাবীব রহমান সময়ের আলোতে আওয়ামী লীগ বিটে কর্মরত ছিলেন। তার সম্পূর্ণ নাম হাবীবুর রহমান। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শশীদল ইউনিয়নের মানুরা গ্রামের অধিবাসী হাবীব। তার বাবা প্যারা মিয়া পেশায় একজন কৃষক। তার মায়ের নাম পিয়ার জাহান। পরিবারে রয়েছে এক ভাই ও তিন বোন। হাবীব বাবা মায়ের বড় সন্তান এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ হতে ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বেশ কিছু গণমাধ্যমে কাজ করেন তিনি।
শিক্ষা জীবনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগ বিটেই সাংবাদিকতার শুরু। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বেশ কয়েকবার নির্বাচন করেন তিনি। প্রতিবারই বিজয়ী ছিলেন তিনি। প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য এবং পরবর্তী নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হন তিনি।
আনন্দবাজার/এম.আর