ঢাকা | সোমবার
১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড়ি-বাড়ি আল্পনা

পৌষ সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এ উৎসব পালন করা হয। এটিকে মকর

পৌষসংক্রান্তি

পৌষ সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এ উৎসব পালন করা হয। এটিকে মকর সংক্রান্তি বলা হয়ে থাকে। স্থানীয় ভাষায় এটিকে ’পুষুরা” বলা হয়। বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিনে আয়োজন করা হয় এ উৎসবের।

হিন্দুরা এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা (পিঠা তৈরির মাটির পাত্র) পোড়ানোর মধ্যে দিয়ে পিঠা বানানো আরম্ভ করে। ৩দিন ধরে চলবে এই পিঠা তৈরির উৎসব।

যেমন পুরান ঢাকায় ঘুড়ি উৎসব হয়। এছাড়াও এখানে পৌষ সংক্রান্তি ’সাকরাইন’ নামে পরিচিত। চলতি বছর মকর সংক্রান্তি ১৪ জানুয়ারি। এ উৎসবে প্রতিটি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ির উঠানে শোভা পাচ্ছে আলপনা। চালের গুড়া দিয়ে আলপনার রং তৈরি করা হয়।

চালের গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে হাত দিয়ে বাড়ির উঠানে নানা রকম নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। কখনো ফুল আবার অন্য নকশাও আলপনা দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়। দিনভর চালের গুড়া তৈরির পর বিকেলে প্রতিটি বাড়িতেই চলে আলপনা তৈরির কাজ। বাড়ির সবাই মিলে আলপনা তৈরির পর সন্ধ্যায় চলে পিঠা তৈরি।

পাবনার আটঘরিয়ায় সংক্রান্তি দিনে সকালে পিঠা-পুলি, পায়েস, দই-চিড়া, তিলু-কদমা আর নকুল-বাতাসার পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূলের আয়োজন হয়ে থাকে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও আত্মীয়সহ প্রতিবেশীর বাড়ি যান।

এদিন সকাল থেকেই বাড়িতে বাড়িতে চলতে থাকে পিঠা তৈরির প্রস্তুতি। পৌষ সংক্রান্তি মানেই মিষ্টি-পিঠে-পার্বন। শুধুমাত্র ভোজন-রসিকদের রসনা তৃপ্তিই না, বরং পিঠের পার্বন, কুটুম-অতিথিদের আতিথেয়তা করারও একটি সময়।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন