ঢাকা | সোমবার
১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঘড়ায় মাছের মেলা

বাঘড়ায় মাছের মেলা

শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া বাজার সংলগ্ন পদ্মানদীর তীরঘেঁষা চরে বাঘড়া মৎস্য আড়তে বসছে মাছের মেলা। আড়তটিতে পদ্মানদীর রূপালী ইলিশ, বোয়াল, চিতল, পাঙ্গাস, শিলং, সরপুঁটিসহ নানা প্রজাতির লাখ লাখ টাকার হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল প্রায় ৬টা থেকে ৭টা ঘন্টাব্যাপী ক্রেতা বিক্রেতাদের হাকডাকে সরব হয়ে উঠে মৎস্য আড়তটি। নদীর মাছের পাশাপাশি এখানে মিলছে বিখ্যাত আড়িয়াল বিলের ডাঙ্গার বা পুকুরের শোল, গজার, রুই, কাতল, কৈ, খলিসা, শিং, মাগুরসহ ছোট বড় নানা দেশী প্রজাতির মাছ। প্রতিদিন এক ঘন্টায় গড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মাছ বিকিকিনি হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঘড়া বাজারের পশ্চিম দিকে পদ্মা নদী সংলগ্ন চরে বাঘড়া মৎস্য আড়টির অবস্থান। খোলা আকাশের নিচে শীতের হিমেল ঠান্ডা সকালে মাছের পসরা নিয়ে বসছেন জেলেরা। দূরদুরান্ত থেকে শতশত পাইকার ও সাধারণ ক্রেতার সমাগম ঘটেছে এখানে। লক্ষ্য করা যায়, ২০ থেকে ২৫ জন আড়তদার মাছ বিকিনিনি করছেন। আড়তে অর্ধশতাধিক শ্রমিক বিভিন্ন কাজকর্ম করছেন।

স্থানীয় শ্রমিকরা জানান, বাড়তি আয়ের জন্য ভোরে আড়তে আসেন কাজ করতে। কিছুক্ষণের জন্য একাজে একেক জনের ২০০-৩০০ টাকা আয় হয়।  মৎস্যজীবি পলাশ বর্মন, মন্নাফ, জাহাঙ্গীর, কৃষ্ণ দাস বলেন, এখানে পদ্মা নদীর মাছের আমদানী বেশী। এছাড়াও আড়িয়াল বিলের বিভিন্ন ডাঙ্গার দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যাচ্ছে। অত্র এলাকার প্রায় দুই শতাধিক জেলে এখানে নিয়মিত মাছ আনছেন।

আড়তদার গোবিন্দ্র দাস, সুকুমার, আলম, শ্যামসিদ্ধ বেপারী জানান, ঢাকা, দোহার, নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে পাইকার আসেন। নদীর তাজ ভেজালমুক্ত প্রায় সবধরনের মাছই এখানে আসছে। বিশেষ করে কিছু পাইকার এখানে পদ্মার বড় ইলিশ নিতে।   

বাঘড়া মৎস্য আড়তের ইজারাদার আলমগীর বেপারী জানান, আমার জানামতে দেশ স্বাধীনের আগেই এখানে আড়তটি গড়ে উঠে। শতকরা ৫ টাকা করে আড়তদারী রাখা হয়। গড়ে  ৫/৬ লাখ টাকার মাছ বিকিকিনি হয়। এখানে তুলনামূলকভাবে সীমিত লাভে মাছ কেনা-বেচার মধ্যে দিয়ে আড়তের ঐতিহ্য ধরে রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন