ঢাকা | সোমবার
১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড়

পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড়

শীতের প্রকোপ বাড়ায় সিরাজগঞ্জে পুরাতন গরম কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে অস্থায়ী পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে সারাদিন ভিড় লেগেই থাকছে। কমদামে ভালো মানের গরম কাপড় মেলায় এসব দোকানে বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের শুরু, অর্থাৎ অগ্রহায়ণ মাস থেকে এ কাপড়ের চাহিদা শুরু হয়ে তা অব্যাহত থাকে মাঘের শেষ পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাট-বাজার, রাস্তার পাশের ফুটপাতে বাঁশ, পলিথিন দিয়ে বানানো হয়েছে পুরোনো কাপড়ের দোকান। এসব দোকানগুলো রাত আটটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে এসব দোকানে।

দোকানীরা হাঁক ছেড়ে বলছে অল্প টাকায় জ্যাকেট, সুয়েটার, জাম্পার কে নিবেন আসেন। আবার কেউবা বলছে বাইচ্ছা লন, যেটা নিবেন ২০ টাকা। নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা যেন ওই দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। মাঘের এ হাড় কাঁপানো শীত থেকে একটু পরিত্রাণ পেতে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ক্রেতারা তাদের চাহিদা স্বল্পমূল্যে দেখে শুনে কিনে নিচ্ছেন এসব পোশাক। এসব দোকানে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা বেশি।

পুরাতন কাপড়ের ক্রেতা ছোরহাব আলী বলেন, এসব দোকানে এক থেকে দেড়শ টাকার মধ্যে মোটা ভালো সোয়েটার পাওয়া যায়। কমদামে ভালো মানের শীতের কাপড় কেনা যায়। যার ফলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অনেক উপকার হয়। আমরা অল্প টাকা দিয়ে শীতের পোশাক কিনে শীত নিবারণ করতে পারি।

উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল গোলচত্বরের পুরাতন কাপড় বিক্রেতা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কোরিয়া, তাইওয়ান, জাপানসহ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে এ কাপড়গুলো বাংলাদেশে আনা হয় জাহাজে। সেখান থেকে আমরা কিনে এনে হাটে বাজারে বিক্রি করা হয়। শীতের প্রকোপ বাড়ায় বিক্রি বেশি হচ্ছে। চলতি বছর দর কিছুটা বেশি। সব বয়সি মানুষের শীতের পোশাক সোয়েটার ও জ্যাকেট আমরা বিক্রি করি। অপেক্ষাকৃত কম দামে একটি জ্যাকেট বা সোয়েটার ক্রেতার হাতে তুলে দিতে পারলে ভালো লাগে। জ্যাকেট বা সোয়েটার যখন কোনো ক্রেতার শরীরের সঙ্গে মানানসই হয়। তখন ক্রেতার মুখের হাসি আমার মনে প্রশান্তি এনে দেয়।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন