কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ১১ দফা দাবিতে দেশব্যাপী কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। চরম ভোগান্তিতে পড়েন জলপথে যাতায়াত করা মানুষেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগপত্র, চাঁদাবাজি বন্ধ, শতভাগ খাদ্যভাতা ও সুপেয় পানির খরচ আদায়, জ্বালানি তেল সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ডিজি শিপিংয়ের হয়রানি বন্ধবাতিলসহ ১১ দফা দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন জাতীয় শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও শ্রমিক লীগ।
এই ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ-এর পরিবহন পরিদর্শক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সকালে থেকে তারা সকল লঞ্চ বন্ধ করে এই কর্মবিরতি পালন করছে। ‘বুধবার সকাল ৮টার দিকে গ্রিনলাইনের লঞ্চ ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া আর কোনো লঞ্চ ছাড়েনি।’ তবে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এ ধর্মঘটের পেছনে মালিকদের উসকানি দেখছেন তিনি।
ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির বলেন, ‘বেতন বৃদ্ধি করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চাঁদা বাজি বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে সকাল থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস