সুনীল অর্থনীতি বিষয়ক আইন তৈরি, বাস্তবায়ন ও সমন্বয় করার জন্য সমুদ্রবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মু. মোসলেম উদ্দিন মুন্না।
তিনি বলেন, সকল বয়স ও পেশার মানুষকে সমুদ্র সাক্ষর করে গড়ে তুলতে হবে যেন তারা সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদ-শক্তির মূল্যায়ন বুঝতে পারে, সমুদ্র কীভাবে আমাদের জীবন, জীবিকা ও পরিবেশকে প্রভাবিত করে এবং মানুষের আচরণ সমুদ্রকে প্রভাবিত করে তা বুঝতে পারে।
ড. মু. মোসলেম উদ্দিন মুন্না বলেন, সমুদ্রের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রথমত মেরিটাইম এলাকার মেরিন স্পেশাল প্লেনিং বা এমএসপি সম্পন্ন করতে হবে। কে, কীভাবে সম্পদ আহরণ করবে সে জন্য সুনির্দিষ্ট রুলস ও রোডস ঠিক করে দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সম্পদের মজুদ জানতে হবে। সব সম্ভাব্য সম্ভাবনাকে বিবেচনায় রেখে স্থানীয় কমিউনিটি ও দেশীয় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে কোন এরিয়াকে কোন সম্পদ আহরণ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। এটা এমনভাবে করতে হবে যাতে মাল্টি ইউজার কনফ্লিক্ট না হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মনে করেন, মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণ না হয় এবং কোনো কর্মকাণ্ডে পরিবেশ ও প্রতিবেশের যেন ক্ষতি না হয় সেটাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা সমুদ্রও বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটদের কাজে লাগাতে হবে।
আনন্দবাজার/শহক