সীমানা জটিলতা কেটে দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্থগিত দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এ নিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে নিদের্শনা দিয়ে চিঠি প্রদান করা হয়েছে। এতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়নের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সর্বশেষ ২০০২ সালে নির্বাচনের আগে বড়বাইশদিয়া থেকে বিভক্ত হয়ে মৌডুবী নামে ইউনিয়ন ঘোষণা করার দাবি তোলে দক্ষিণপ্রান্তের মানুষ। দাবি পূরণ না হওয়ায় নির্বাচনে ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকে মৌডুবীর ভোটাররা। তবে বড়বাইশদিয়া অংশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে একের পর এক মামলা হয়। যে কারণে পৃথক ইউনিয়নের গেজেট হলেও গত ১৯ বছরের দুই ইউনিয়নের নির্বাচন হয়নি। অবশেষে বুধবার সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনের তফসিলে বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়নের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ইউনিয়নজুড়ে সাধারণ ভোটার ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, যেহেতু অনেক বছর পর ভোট দেয়ার সুযোগ হচ্ছে তাই পছন্দের প্রার্থী ও যোগ্য জনপ্রতিনিধি বেছে নেয়ার সময় এসেছে। অপরদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও তাদের তৈরি করছেন নিজেকে জনগণের সামনে উপস্থাপনের জন্য। সবমিলিয়ে এ দুই ইউনিয়নে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনের আমেজ।
এ বিষয়ে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক হাওলাদার বলেন, দীর্ঘ বছর পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের মনে ব্যাপক আনন্দ এবং প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী মাঠ গোছানোর প্রস্তুতি। আমি একজন সাবেক সফল চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় অত্র ইউনিয়নের জনগনের সেবা করার জন্য নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে, মৌডুবি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম টুকু বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা করায় এলাকায় উৎসবের আমেজ বইছে। আবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমি একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আমার নির্বাচনী মাঠ গোছাতে কাজ করছি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সোহাগ হাওলাদার বলেন, ওই দুই ইউয়িনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি মনোনয়ন দাখিল, ১৫ জানুয়ারি বাছাই, ২২ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। আশাকরি দেড়যুগ পরে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারবে।
আনন্দবাজার/এম.আর
