কুড়িগ্রামে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলায় গতকাল সোমবার সকালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা আগামী আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী জানুয়ারিতে তাপমাত্রা কমে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রুপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। এতে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন।
কনকনে ঠান্ডায় নাকাল খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার পাঁচ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষসহ নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষ। কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে। অন্যদিকে টানা শীতে জেলার হাতপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে।
পাঁচগাছি এলাকার ঘোড়ার গাড়ি চালক আব্দুল জলিল জানান, অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঘোড়াগুলো দৌড়াতে পারছে না। ঠান্ডায় আমারও হাত পা অবস হয়ে আসছে। কিন্তু আয় না করলে ঘোড়াগুলোকে খাওয়াবো কি? মালামাল পরিবহন না করলে আয় হবে না। কুড়িগ্রাম শহরের ভ্যানগাড়ি চালক জব্বার আলী জানান, কয়েক দিন থেকে প্রচুর ঠান্ডা যাচ্ছে। শীতের কাপড় পড়েছি। তবুও ভ্যানগাড়ি চালালে সেই কাপড় ভেদ করে শির শির বাতাস লাগছে। এতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
চর কুড়িগ্রাম এলাকার প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষই গরীব। ভিক্ষা করতে শহরের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু ঠান্ডা হাতে পায়ে যেন কামড় দিয়ে ধরছে। শির শির বাতাসে শরীর যেন অবস হয়ে আসছে। কিন্তু কি করার? ভিক্ষা না করলে খাবো কি?
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সোমবার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। জানুয়ারীতে তাপমাত্রা কমে মাঝারী থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রুপ নিতে পারে।




