বাংলাদেশ অবৈধ অভিবাসন উৎসাহিত করে না। সুশৃঙ্খল, নিরাপদ এবং নিয়মিত অভিবাসনে বদ্ধপরিকর। সকল প্রবাসীদের সুবিধার্থে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মরিশাসে দায়িত্বরত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ।
১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশন পোর্ট লুইস , মরিশাস “শতবর্ষে জাতির পিতা, সুবর্ণে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ উদযাপনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে রেমিটেন্স সম্মাননা পুরস্কার-২০২১ এবং প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে কেক কাঁটা হয়। মরিশাসে পুনরায় কোভিড-১৯ এর প্রার্দুভার বেড়ে যাওয়ায় সরকার কর্তৃক জারীকৃত নতুন প্রটোকল অনুযায়ী সীমিত সংখ্যক অতিথির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ তার স্বাগত বক্তব্যে হাজার বছরের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীবান্ধব সরকার। বিশেষ করে কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে ভূক্তভোগী কর্মীদের জন্য নানা পদক্ষেপ এবং বিশেষত প্রবাসী কর্মীদের টিকা দানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ সকল কার্যক্রম বিস্তারিত উল্লেখ করেন। বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ সরকার নগদ প্রণোদনা হিসেবে ২% ক্যাশ প্রদান করছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি প্রবাসীদের বৈধপথে অর্থ প্রেরণ করার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করলে মরিশাসসহ সকল পক্ষই লাভবান হয়। এছাড়া স্বাধীনতার ৫০ বছরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের নানাদিক তুলে ধরেন। সরকারের এই উন্নয়নে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করারও আহ্বান জানান।
এ দিবসকে উপলক্ষ্য করে বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের “রেমিটেন্স সম্মাননা ২০২১” প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, মিশন এ বছর চতুর্থবারের মতো এ সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ বছর সর্বমোট দশজনকে বিশেষ পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। মান্যবর হাইকমিশনার এ সম্মাননা তাঁদের হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণে তাদের প্রতিশ্রুতি পুন:ব্যক্ত করেন এবং অংশগ্রহণকারী সকলেই এ ধরণের সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিজয়ের পঞ্চাশ বছরপূর্তি উপলক্ষে কেক কাঁটা হয়।
আনন্দবাজার/এজে




