বাংলাদেশ থেকে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করা হচ্ছে কুকুর। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা খাগড়াছড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত এসব কুকুর পাচার করা হচ্ছে। পাচার করা এসব কুকুর ভারতের মিজোরামে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।
এই কুকুর পাচার সম্প্রতি আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। ভারতের মিজোরাম সরকার সেখানে কুকুর বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও পাচার বন্ধ হচ্ছে না। পাহাড়ি এলাকায় একটি চক্র কুকুর পাচারে সক্রিয় আছে বলে জানা গেছে।
পাহাড়ি অঞ্চল খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বোয়ালখালি বাজার, বাবুছড়া, থানা বাজার সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কুকুরগুলো ধরা হয়। কুকুরগুলো ফাঁদ পেতে ধরে, আক্রমণ থেকে বাঁচতে তার দিয়ে তাদের মুখ বেঁধে দেয়া হয়। মিজোরামের বিভিন্ন হোটেল ব্যবসায়ী কুকুরগুলো কিনে রান্না করে সেগুলো বিক্রি করেন।
গত বুধবার দীঘিনালা থেকে ৩৫টি কুকুর ধরে নিয়ে যায় কুকুর শিকারিরা। কুকুরগুলো দীঘিনালার বাবুছড়া বাজার থেকে শিকার করা হয়। রাঙ্গামাটির মাইনী বাজার থেকে কাপ্তাই হৃদ দিয়ে ভারতের মিজোরামে নেয়া হয় কুকুরগুলো। কুকুরগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এ বিষয়ে পিপলস ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা রাকিবুল হক এমিল বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ মতে মালিকবিহীন কুকুর হত্যা বা অপসারণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যার সাজা ৬ মাস জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে জানান, এই বিষয়টি আমি প্রথম শুনেছি। কোনো প্রাণীর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা যাবে না। এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস
