- আর্থিক দুরবস্থায় ৭৮ শতাংশ পরিবার
- আয় কমেছে ১৯ শতাংশ পরিবারের
মহামারী করোনায় বেঁচে থাকার তাগিদে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪৮ শতাংশ পরিবারকে গড়ে ৫২ হাজার ৫৩৩ টাকা ঋণ নিতে হয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ইশতিয়াক বারি ‘বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অতিমারি মোকাবিলা ও খানা জরিপের ফলাফল’ তুলে ধরেন।
সারা দেশের চর, হাওর, উপকূলীয় অঞ্চল এবং দলিত ও আদিবাসীসহ পিছিয়ে পড়া ১ হাজার ৬০০ পরিবারের ওপর এই জরিপ করা হয়। জরিপের ফলাফলে বলা হয়, করোনার মধ্যে ৭৮ শতাংশ পরিবার আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে। এর মানে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি পাঁচ পরিবারের চারটিই এমন সংকটে পড়েছে। তবে চর ও উপকূলীয় অঞ্চলে এই দুরবস্থা বেশি প্রকট। পরিবারগুলোর গড়ে ১৯ শতাংশ আয় কমেছে। করোনার প্রথমদিকে সরকারি ছুটি ঘোষণার কারণে ৭০ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য কাজ হারিয়েছেন। অবশ্য পরে তাদের ৯৭ শতাংশ আবার কাজ ফিরে পেয়েছেন।
জরিপে আরও বলা হয়েছে, সংসারের খরচ চালাতে সঞ্চয় ভাঙতে হয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ পরিবারকে। গড়ে তারা ৩৪ হাজার ৪৬২ টাকার সঞ্চয় ভেঙেছেন, যা তাদের পাচ মাসের সঞ্চয়ের সমান। আর যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই পরিবারের উপাজর্নকারীরা প্রায় সবাই অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মী।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, তথ্য উপাত্তের ক্ষেত্রে এ দেশে নৈরাজ্য আছে। তথ্য উপাত্তের অভাবে করোনার মধ্যে কোন খাতে কি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে-তা জানি না। তথ্য উপাত্ত থাকলে নীতি প্রণয়ন সহজ হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এখন বাঙালিদের উপোস থাকার খবর নেই। ভাতের অভাব থেকে মুক্তি পেয়েছি। নিজের অভিজ্ঞতা বলছি, সুনামগঞ্জের হাওরের লোকজনও কেউ উপোস থাকে না। সেখানে মুরগির দাম ছোট মাছের চেয়ে কম।
আনন্দবাজার/শহক