মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গতকাল সোমবার বিকেলে এই টিকার প্রথম চালান যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের চার মিলিয়ন আর্থাৎ ৪০ লাখ ডোজ আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ মহামারীর কারণে কঠিন সময় পার করেছে। এই পরিস্থিতি থেকে আরো উত্তম, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধবভাবে উত্তরণে আমরা উভয়ই একসাথে কাজ করছি।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রস্তুতে সহায়তা করার জন্য ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বব্যাপী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের অর্ধ বিলিয়নের বেশি ডোজ বিতরণ করা হয়েছে অলাভজনক মূল্যে। যার দুই-তৃতীয়াংশ যাচ্ছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে।
যুক্তরাজ্য ২০২০ সালে কোভ্যাক্স প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু করে। এবং বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে মোট ৫৪৮ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করে। এই কোভ্যাক্স স্কিমটি ৮৩ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশসহ ১৩৭টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলে ১৫২ মিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করেছে। এবং প্রাথমিক ভ্যাকসিনের শতকরা ৬৫ ভাগ ডোজ অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২০২২ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এক দশমিক আট বিলিয়ন ভ্যাকসিন সরবরাহ করা কোভ্যাক্সের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, চলতি বছর জি-৭ এ জুন ২০২২ এর মধ্যে বিশ্বে এক শ’ মিলিয়ন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ডোজ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশকে প্রদানকৃত এই ভ্যাকসিন অনুদানটি এসেছে জি-৭ সম্মেলনের প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপ। যুক্তরাজ্যের অনুদানের ভ্যাকসিন ডোজগুলোর শতকরা ৮০ ভাগ বিতরণ করা হবে কোভ্যাক্স সুবিধার মাধ্যমে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি