চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রাজধানীর রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে এক রোগী মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত এনেসথেশিয়া দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্বজনরা দাবি করছে।
গত ১০ নভেম্বর দৌলত ব্যাপারী নামে এক ব্যবসায়ীকে কিডনিতে পাথরজনিত কারণে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বসে মেডিকেল বোর্ড। ১১ নভেম্বর করা হয় অস্ত্রোপচার। এরপর রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হলে নেওয়া হয় আইসিউতে।
স্বজনরা বলছেন, বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নিয়ে যেতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের দাবি, রোগী আগে মারা গেলেও শুধু অতিরিক্ত বিল চার্জের জন্য এতদিন ধরে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসায় অবহেলার কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।
স্বজনরা বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি আমাদের ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নিয়ে যাবো। তার আধাঘণ্টা পর তারা ঘোষণা দিয়ে বলেছে, আপনাদের ভাই মারা গেছেন। অপারেশনের আধা ঘণ্টা পরেই তিনি সেন্সলেস হয়ে পড়েন। জিহ্বায় কামড় দিয়েছে, নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। তারা বলছেন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার প্রতিবাদ করলে রোগীর এক স্বজনকে টয়লেটে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
স্বজনরা বলছেন, তাকে ধরে নিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে বলেছে যে ’এ বিষয়ে কিছু বলবি না। না হয় লাশও পাবি না। চুপচাপ এখান থেকে চলে যাবি’।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বজনদের মারধরের ঘটনাটি অস্বীকার করেছে। ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহের-ই-খুদা দ্বীপ বলেন, তাকে মেরেছে কিনা আমরা তো দেখিনি। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তারা যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে, তবে আমরা সিসি ক্যামেরা চেক করবো। প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। যদি সত্যিই কেউ দোষী হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই তার শাস্তি হবে।
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
সূত্র -সময় টিভি
আনন্দবাজার/এজে