দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সেজন্য ১৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এই সংস্থাটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
আজ সোমবার শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এই সংক্রান্ত ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমং গিনটিং চুক্তিতে সই করেন।
দেশের তরুণ, বিদেশফেরত কর্মী এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ উদ্যোক্তা বিশেষ করে কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এই ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি। এ ঋণ দেশের ৩০ হাজার সিএমএসই উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহজতর করা এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীকে মহামারীর প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করতে এ অর্থায়ন করা হচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলে মানুষের আয় কমে গেছে ও কৃষি ছাড়া অন্যান্য কর্মসংস্থানের সুযোগও কমে গেছে। পাশাপাশি করোনার প্রভাবে গ্রামীণ উদ্যোক্তারাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব জনগোষ্ঠীকেই সহায়তা করা হবে।
এ ব্যাপারে ইআরডি সচিব বলেন, এডিবির ঋণ করোনা মহামারীর সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবে।
এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর গিনটিং জানান, এডিবির এ প্রয়াস নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। একটি ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সিএমএসমইকে অর্থায়ন করা হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করা হবে। এক কথায় করোনা সংকটে পড়া মানুষকে সহায়তা করতেই ঋণ দিচ্ছে এডিবি।
২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পটির আওতায় কমপক্ষে ৪৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। ২০ শতাংশ ঋণ নির্ধারণ করা হয়েছে নারীদের জন্য। এই কর্মসূচির আওতায় ৯০ হাজার মানুষকে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি
