ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক রিশাদের ওপর হামলার মূলহোতা গ্রেপ্তার

ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রিশাদ হুদার ওপর হামলকারীদের প্রধান নাজিম আহম্মেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে তাকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রিশাদ হুদার ওপর হামালার ঘটনায় নাজিম আহম্মেদ বাবু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলায় নাজিম আহম্মেদ বাবুকে প্রধান আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন তানভীর, ইউসুফ, ইকবালসহ আরও ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, সাংবাদিক রিশাদ হুদাকে মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। পরে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হামলার শিকার রিশাদ হুদা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ছেলে। অপরদিক নাজিম আহম্মেদ বাবু ধানমন্ডি থানার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

মামলার বাদী আহত রিশাদ হুদা বলেন, শনিবার বিকেল প্রায় ৪টায় শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের পেছনের গলি দিয়ে যাওয়ার পথে নাজিম আহম্মেদ তার প্রাডো-১২ গাড়ি আমার মোটরসাইকেলের বামে এসে চাপ দেয়। এসময় আমি হর্ন দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং গাড়ি থেকে নাজিম উদ্দিনসহ তার দুজন সহযোগী নেমে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর তারা আমার হেলমেট খুলে নিয়ে মাথা, বুক ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে সাধারণ মানুষের তোপের মুখে সেখান থেকে আমার মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে আমাকে আজিজ মার্কেটের সামনে যেতে বলে।

রিশাদ আরো বলেন, আজিজ মার্কেটের সামনে গেলে তারা আমাকে মার্কেটের মালিক সমিতির সভাপতির কাছ থেকে চাবি আনতে বলে। এরপর চাবি নেওয়ার জন্য মার্কেটের চতুর্থ তলায় গেলে সেখানে কলাবাগান থেকে আসা আরও প্রায় ১৫ জন আমাকে মারপিট করে মোবাইল কেড়ে নেয়। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নাজিম আহম্মেদকে থানায় নিয়ে যায়। হামলার পর আহত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সাংবাদিক রিশাদ হুদার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাতেই সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী ফেসবুক মাধ্যমে হামলাকারী নাজিম উদ্দিন আহমেদ বাবু ও তার সহযোগিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অপরদিকে রিশাদ হুদার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশন (র‌্যাক)। একই সঙ্গে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন