ঢাকা | শুক্রবার
৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের দ্বিতীয় রানার্স আপ ‘জাককানইবি টেক হাব’

ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২১-এ ময়মনসিংহ অঞ্চলের দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘ঔককঘওট ঞবপয ঐঁন’। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহায়তায় শুরু হয় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২১।

গত সোমবার ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে বিজয়ী দলগুলোকে পুরস্কৃত করেন বেসিস’র কর্তাব্যক্তিরা। ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে রানার আপ ‘ইন্সপেশন ওকে’ এবং বিজয়ী দল ‘সোলারিস’।

এ বছর নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৫১টি শহরে এ চ্যালেঞ্জ আয়োজন করেছে। বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে) ভার্চুয়ালি এ প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছে।

টেক হাব টিমের লীডার কানিজ ফাতেমা শান্তা জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বাকি টিম মেম্বাররা হলেন রুবাইয়া আক্তার মিম, মোঃ হাসিবুর রহমান, সাকিব আহমেদ এবং মোহাম্মদ রিফাত।

তাদের প্রকল্পটি ছিলো ‘উরংধংঃবৎ জবংঢ়ড়হংব’ শিরোনামের ওপর। টেক হাব টিম ওয়েব এবং এন্ড্রয়েড প্লাটফর্ম এ প্রকল্পটি করেছে। নাসার ডেটা ব্যাবহার করে এই সমস্যার সমাধান করে তারা।

উল্লেখ্য, কানিজ ফাতেমার শান্তার নেতৃত্বে টিম টেক হাব ২০১৯ সালে ময়মনসিংহ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো এবং গ্লোবাল নমিনেশন পেয়েছিলো। এবারের প্রতিযোগিতাকে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে ভাগ করা হয়। অঞ্চলভিত্তিক চ্যাম্পিয়ন দলগুলো হচ্ছে- প্রেহিম, সোলার স্পেক, টেক্সজেন, মহাকাশ, সোলারিস, টিম শকওয়েব, এমআইএসটি মহাশূন্যের অভিসারী ও বুয়েট জেনিথ। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলগুলো হলো- স্পেস আই, ক্যালেস্টিয়াল সিক্স, গ্রিন এক্স, ফ্লাই হাই, স্পেস হাই, ইনসেপশন ওকে, শুটাউস্টার্স, এস্পইর ও লুবডক এবং ইকো ইউনিকর্ন, স্পেস ক্রপ, ডায়নামো ওয়ারিয়র, নাসা ইয়ং এক্সপ্লোরার, টেক হাব, টিম পার্সিভারেন্স, আর্টিবটস ও লুমিনাল ক্যালিবার। গত ৫ই অক্টোবর বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পর্বে আট শতাধিক প্রকল্প অংশ নেয়। এখান থেকে নির্বাচিত ১২৫টি প্রকল্প ১ ও ২ অক্টোবর ভার্চুয়ালি ৪৮ ঘণ্টার হ্যাকাথনে অংশ নেয়। বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে তিনটি করে মোট ২৭টি প্রকল্পকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন