দরিদ্র্যতা, পারিবারিক ও সামাজিক অসচেতনার কারণে গত একবছরে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ৫০১টি বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। নারী ও শিশু নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ল্যাম্ব-ইসিএম তথ্যানুযায়ী গত একবছরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এ বাল্যবিয়ে সংগঠিত হয়।
ওমেন্স হপ ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় ল্যাম্ব-ইসিএম প্রকল্পের আয়োজনে গত বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডোর টু ডোর জরিপে ১০টি ইউনিয়নে ২০২০ সালের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত ১২ মাসের জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। উপজেলায় বাল্যবিয়ের হার ২৩ শতাংশ।
সভায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রীতম শাহা, পৌর মেয়র এজেডএম মেনহাজুল হক, পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমাম জাফর, ল্যাম্ব-ইসিএম প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হক, টেকনিক্যাল অফিসার নির্মলা রানী রায়সহ শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, কাজী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
হাবড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুজ্জামান বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পেলে পিতা-মাতাকে নিষেধ করলেও তারা গোপনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। আর ভুয়া সনদে এসব বিয়ে পড়ালেও মেয়ের অভিভাবকরাই বেশি বিপদে পড়েন।
আরও পড়ুন:সৌরবিদ্যু প্রকল্প বদলে দিয়েছে তিস্তার ধুধু বালুচরে মানুষের জীবন
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশ্ররাফুল হক প্রধান বলেন, করোনায় গত দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। এ সময় ১ হাজার ৫০০ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।
বাল্যবিয়ের বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার শাকিনা বিনতে শরীফ বলেন, এ সংক্রান্ত কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। এমনকি এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগও করেননি।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাশিদ কায়সার রিয়াদ বলেন, অসচেতন অভিভাবকরা মেয়েদের বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন, যা দুঃখজনক। বাল্যবিয়ে ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
বাজার/এম.আর