জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাস ভাড়া বাড়ানো হলেও সিএনজিচালিত বাসের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়, কিন্তু সব বাসেই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এমন অভিযোগে দেশের সিএনজিচালিত বাসে স্টিকার লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
এ বিষয়ে ইতিমধ্যে পরিবহন মালিক সমিতিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাসে স্টিকার লাগানো হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করবে বিআরটিএ। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে বাস-মিনিবাসে বাড়তি ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথ অভিযান শুরু করবে বিআরটিএ।
গত রোববার ঢাকাসহ সারা দেশে শুধু ডিজেলচালিত বাস-মিনিবাসের ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। সিএনজিচালিত বাসের জন্য বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে সরকার। কিন্তু এই গ্যাসচালিত বাসের সংখ্যা কত, কোন পথে সেগুলো চলে বা এগুলো চিহ্নিত করার কোনো পথ বাতলে দেওয়া হয়নি। বিআরটিএ সিএনজিচালিত বাসের প্রকৃত সংখ্যা বা এগুলো কোন কোন পথে চলাচল করে তা স্পষ্ট করেনি। ফলে রাজধানী ঢাকায় এবং দূরপাল্লার পথে গ্যাসচালিত বাসেও বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের বোঝার সুবিধার্থে সিএনজিচালিত বাস চিহ্নিত করতে স্টিকার লাগানোর জন্য পরিবহন মালিক সমিতিকে সোমবার চিঠি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:কাগজ ব্যবহারের দিন শেষ হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগে
বিভিন্ন স্থানে সরকারের নির্ধারিত ভাড়া না মেনে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে—এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। সেখানে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বৃহস্পতিবার থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথ অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া প্রয়োজনে মহানগর পুলিশ এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
বাজার/এম.আর