ঢাকা | মঙ্গলবার
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলগালা ইভ্যালির ৪টি ওয়্যারহাউস 

সাভারের আমিনবাজার ও বলিয়ারপুরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৪টি ওয়্যারহাউস সিলগালা করা হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে অপর ৪ সদস্য সাভারের আমিনবাজার এলাকার পিংক ফুড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে সরেজমিনে ইভ্যালির দুটি ওয়্যারহাউস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তাঁরা ওয়্যারহাউসে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিকস মালামাল দেখতে পান। পরিদর্শন শেষে ওয়্যারহাউস দুটি সিলগালা করে দেন তাঁরা।

পরে বলিয়ারপুর এলাকায় অবস্থিত ইভ্যালির অপর দুটি ওয়্যারহাউস পরিদর্শন শেষে সেগুলোও সিলগালা করে দেন তাঁরা। পরিদর্শনকালে বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবির, সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ফখরুদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ উপস্থিত ছিলেন।

আমিনবাজারে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ইভ্যালির সম্পদের পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ শেষে অডিট করা হবে। এরপরই এ বিষয়ে বলা যাবে। এখনো অনেক কিছু করা এবং দেখার বাকি রয়েছে। এখন পর্যন্ত বোর্ডের মাত্র তিনটি সভা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘হাইকোর্ট আমাদের, যদি সম্ভব হয় বিজনেস চালিয়ে যাওয়া এবং না হলে অডিটের মাধ্যমে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ ও মূল্য নির্ধারণ করে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। এখন আমাদের প্রথম কাজই হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ইভ্যালির ওয়্যারহাউসগুলো পরিদর্শন এবং অডিটের মাধ্যমে সব সম্পদ নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অডিটের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা আশাবাদী একটি সুষ্ঠু সমাধান হবে।’

বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুব কবির মিলন বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় অপশনটি এই মুহূর্তে চিন্তা করছি না। যদি বিজনেস চালিয়ে যেতে পারি, সেটিই হবে মঙ্গলজনক। তবে কোন দিকে আমরা যাব, সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইভ্যালির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে আমরা তথ্য নেব। এ ছাড়া ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্সসহ বিভিন্ন সংস্থা ও গ্রাহকদের কাছ থেকেও তথ্য নেওয়া হবে। এরপর সে তথ্য হাইকোর্ট অনুমোদিত অডিট ফার্মকে দেওয়া হবে। অডিট ফার্ম তাদের অডিট করবে এবং অডিটের ওপর ভিত্তি করেই আমরা সামনে অগ্রসর হব।’

ইভ্যালির প্রতারিত গ্রাহকদের তাঁদের কাছে থাকা তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখার অনুরোধ জানান তিনি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন