বিদ্রোহীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। আদ্দিস আবাবায় সরকারি দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাজধানী শহরটিকে উত্তরের টাইগ্রে থেকে আসতে থাকা টিপিএলএফ যোদ্ধাদের হাত থেকে রক্ষা করতে। এক বছর ধরে তারা দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা, নাগরিকদের অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ।
দেশটির সাধারণ নাগরিকদের টিপিএলএফ সন্ত্রাসীদের বর্বরতার হাত থেকে রক্ষার জন্য এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সংবাদ সংস্থা ফানা।
জাস্টিস মিনিস্টার গিডিন টিমথিউজ এক ব্রিফিংয়ে বলেন, আমাদের দেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্য মারাত্মক বিপদের মধ্যে আছে। আমাদের প্রচলিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা দ্বারা এটা প্রশমিত করা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, যে বা যারা এ জরুরি অবস্থা অগ্রাহ্য করবে তারা সন্ত্রাসী দলগুলোকে অর্থনৈতিক, বস্তুগত বা মানবিক সহায়তা করেছে বলে বিবেচনা করে তাদের শাস্তিস্বরূপ ১০ বছরের জেল দেওয়া হবে।
সম্প্রতি যখন আমহারা অঞ্চলে ডেসি এবং কমবলচা শহর টাইগ্রেয়ান যোদ্ধারা তাদের দখলে নিয়েছে বলে জানায় তখনই জরুরি অবস্থার এ সিদ্ধান্ত এল। এমন অবস্থায় যোদ্ধারা এ ইঙ্গিত দেয় যে তারা আরও দক্ষিণে আদ্দিস আবাবায় এগোতে পারে।
সরকার জানিয়েছে, রাজধানী থেকে ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) দূরের ওই দুটি শহর পুনররুদ্ধারে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সেনারা।
এমন পরিস্থিতিতে উত্তর ইথিওপিয়ার বেশিভাগ জায়গা যোগাযোগহীন হয়ে পড়েছে। এসব জায়গায় সাংবাদিকদের প্রবেশও সংরক্ষিত। ফলে যুদ্ধাবস্থার কোনো সংবাদ স্বাধীনভাবে যাচাই সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
মঙ্গলবার আদ্দিস আবাবার বাসিন্দাদের দুই দিনের ভেতর তাদের অস্ত্র রেজিস্টার করতে বলা হয়েছে এবং শহরকে রক্ষা করতে বলা হয়েছে।
এর আগে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করতে জনগণকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। স্থানীয় সময় সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে এই আহ্বান জানান শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী এই প্রধানমন্ত্রী।
আনন্দবাজার/শহক