ছবিতে থাকা ব্যক্তির নাম মিজান হাওলাদার। ৪০ বছর বয়সী মিজানের পেট রোগের কারণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। তার পেটের অবস্থা দেখলে অনুমান করা যায় বড় কোনো রোগে ভুগছেন তিনি। তবে টাকার অভাবে উন্নত কোনো চিকিৎসা সেবা নিতে পারেননি তিনি।
দুই ছেলে, এক কন্যা আর স্ত্রীকে নিয়ে বরিশালের মুলাদী উপজেলার রামারপোল গ্রামে বসবাস করেন অটো চালক মিজান। একটি টিনশেড রুমে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে বসবাস করা মিজানের পেট বেশ কিছুদিন আগে থেকে হঠাৎ ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করে। গত কয়েক মাস ধরে পেটের যন্ত্রণায় ঠিকভাবে খাবারও খেতে পারছেন না। এজন্য স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। সেই চিকিৎসক তাকে বলেছেন, ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। তবে এখনও তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে পারেননি।
মিজানের পায়ের সমস্যা আরও গুরুতর। তাকে হাঁটতে হয় লাঠিতে ভর দিয়ে। তাই আগে থেকেই ভারী কোনো কাজ করতে পারেন না তিনি। এক সময়ে স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকান দিতেন। তবে দোকানে চালিয়ে সংসারের খরচ জোগাড় করতে না পরায় ভাড়া নিয়ে অটো চালানো শুরু করেন তিনি। কিন্তু পেটের সমস্যার কারণে ঠিকভাবে অটোও চালাতে পারছেন না। তাই চিকিৎসা তো দূরের কথা, সংসারের সদস্যদের মুখে তিনবেলা খাবারও তুলে দিতে পারছেন না তিনি। বড় দুই সন্তানের পড়াশোনা তো বন্ধের পথে।
মিজান বলেন, ‘মুই আগে চায়ের দোকান দিতাম। কিন্তু যেই টাহা পাইতাম তা দিয়া সংসার না চলায়, একটা অটো ভাড়া লই। হেই অটো দিয়া দিনে যা আয় হইত তা দিয়াই পোলাপানগো পড়ালেহা চালাইতাম আর ঘরের খাওন জোগাড় করতাম। কিন্তু রোগে পড়ায় এহন আর নিয়মিত অটো চালাইতে পারি না। পেটটা শান্ত থাকলে মাঝে মাঝে চালাই, তার বেশিডাই দিয়া দেওন লাগে যাগো অটো তাগোরে। যেহেনে তিন বেলা খাইতেই পারি না, সেহানে তিন চিকিৎসা করামু কেমনে।’
এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শরীফ বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে মিজানকে সহায়তার চেষ্টা করছি। তবে বিত্তবানরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়ে তাকে একটি অটো ক্রয় করে দিলে তিনি সংসার চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের পড়াশোনা করাতে পারতেন।
মিজান বলেন, মোর এই অবস্থায় বড়লোকরা আগাইয়া আইলে মুই পোলাপান আর বউরে লইয়া বাঁইচা থাকতে পারতাম। কেউ যদি আমারে ডাক্তার দেহাইয়া সুস্থ হওনের ব্যবস্থা কইরা দিত তাইলে অন্তত কাম কাইজ কিছু করতে পারতাম। কেউ একটা অটো কিন্না দিলে আমার সংসারে আর কোনো সমস্যা থাকত না।
সমাজের কেউ যদি অসহায় এই মিজানকে সহায়তা করতে চান তবে সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
তার সঙ্গে যোগাযোগ এবং সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
মিজান: ০১৭৫৫৪৫৬০৭৭ (নগদ অ্যাকাউন্ট নম্বর)
মিজানের ছেলে রায়হান: ০১৪০৫০৪৯৫৮০ (বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর)
আনন্দবাজার/শহক