ঢাকা | শনিবার
২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ ই আগস্ট ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সকল আসামির ফাঁসির দাবি

১৫ ই আগস্ট ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সকল আসামির ফাঁসির দাবি

১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ এর বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ মিনু।

তিনি বলেন, ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। দিবসটি স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী। প্রতি বছর এই দিন জাতীয় শোক দিবস হিসেবে যথাযথ মর্যাদা ও শোকাবহ পরিবেশে পালিত হয়। প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় শোকদিবসে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মমূচি গ্রহণ করেছে।

অন্যান্যদের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আহসান হাবিব হীরা। তিনি বলেন, শোকের মাস আগস্ট মাস। এই মাসে দেশে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের ভয়াবহতম হত্যাকাণ্ড ও নারকীয় গ্রেনেড হামলা। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর শোকের দিন।

১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্তা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নৃশংসভাবে নিহত হন।
সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে  এ ঘটনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ছাড়াও সভায় গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন