আজ ৮ আগস্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী। এই মহীয়সী নারী ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই নন, ছিলেন তাঁর একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর এবং বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের একজন সহযোদ্ধা।
বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন বঙ্গমাতা। স্বামীর আদর্শকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন তিনি। এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য রেখেছেন অসামান্য অবদান। এ জন্য অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাঁকে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে এগিয়ে নিতে গৃহবন্দী অবস্থায়ও অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন বঙ্গমাতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধু এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকের বুলেটে শহীদ হন তিনি।
বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো পৃথক কর্মসূচি পালন করবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এবার প্রথম বঙ্গমাতা পদক ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের পক্ষে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। কবরস্থান মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে এক হাজার করোনা যোদ্ধা চিকিৎসকের মাঝে বিশেষ উপহার প্রদান করা হবে। আগামীকাল আলোচনা সভা করবে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ।
আনন্দবাজার/শহক