ঢাকা | রবিবার
২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল

ঈদ আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করতে গ্রামে ছুটছে শহর ও কর্মস্থলের মানুষ। দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতিতে আজও মুখরিত মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। সকাল হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফেরিঘাটে যানবাহন আর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ঢল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে চাপ।

বিশেষ করে লঞ্চঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীদের গাদাগাদি। লঞ্চে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা না থাকলেও ঠিকই অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব।

অন্যদিকে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে ৬ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক।

ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ সচল রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের ট্রাফিক কর্মকর্তা মোঃ সোলেমান জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষেন চাপ রয়েছে। নৌরুটে বর্তমানে ৮৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ৫ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, “মানুষের উপচেপড়া ঢল, আমরা সাধ্যমত নিয়ম মেনে লঞ্চে যাত্রী উঠানোর চেষ্টা করছি”।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন